ঘিয়ের গুণেই ত্বকে আসবে ঔজ্জ্বল্য। ছবি: সংগৃহীত।
শরীর ভাল রাখতে ঘিয়ের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। রান্নাবান্না থেকে হোমযজ্ঞ— ঘি সবতেই জনপ্রিয়। ওজন কমানোর পর্বেও ঘি খান অনেকে। তবে শুধু শরীর ভাল রাখতে নয়, রূপচর্চাতেও ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের পরিচর্যায় বাজারচলতি নামীদামি প্রসাধনীর চেয়ে ঘি অনেক বেশি কার্যকর। বাজারে ঘিয়ের দাম কম নয়। না খেয়ে ঘি দিয়ে রূপচর্চা করায় তাই অনেকেরই আপত্তি থাকতে পারে। তবে খুব স্বল্প পরিমাণ ঘি দিয়েই কিন্তু ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনা সম্ভব। ত্বকের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন ঘি?
১) বেসনের সঙ্গে অল্প ঘি এবং কাঁচা দুধ ভাল করে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দু’-তিন বার মুখে মাখলে ত্বকে জেল্লা আসবে। এ ছা়ড়া, বেসন ত্বকের উন্মুক্ত গর্তে (ওপেন পোরস) জমে থাকা ময়লা দূর করতেও ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে।
২) শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধু এবং ঘি একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। ত্বক মসৃণ হবে। প্যাকটি ২০ মিনিট মতো ত্বকে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। মধু এবং ঘি দু’টোতেই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় বলিরেখা দূর হয় কয়েক দিনের ব্যবহারে।
৩) ট্যান দূর করতেও ঘি উপকারী। ঘিয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। শরীরের যে অংশে ট্যান পড়েছে, সেখানে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে কার্যকর এটি।
শুধু ত্বক নয়, চুলের পরিচর্যাতেও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ঘি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে। কী ভাবে ব্যবহার করবেন? হাতের তালুতে অল্প ঘি নিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করার পর বোঝা যাবে ঘিয়ের কেরামতি।
খুশকির সমস্যা দূর করতেও ঘি উপকারী। ছোট এক চামচ ঘিয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করে ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। তার পর শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।