চুলের যত্ন নিন ছবি: সংগৃহীত
চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত চুল সাফ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় যাঁদের লম্বা চুল তাঁরা নিয়মিত চুল ধোয়ার সুযোগ পান না। অর্থাৎ নিয়মিত না ধুলে যেমন ময়লা হয়ে যেতে পারে চুল, তেমনই অতিরিক্ত সাবান শ্যাম্পুতেও বিগড়ে যেতে পারে চুলের স্বাস্থ্য। তাই কখন চুল ধুতে হবে আর কখন হবে না, তা বুঝতে হবে তার ভারসাম্য।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। অনেকেই জেল, স্প্রে কিংবা সিরামের মতো প্রসাধনী লাগান চুলে। এই ধরনের সামগ্রী ক্রমাগত ব্যবহার করার পরেও চুল না ধুলে চুল ভারী হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় চুলে জট পড়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ধুতে হবে চুল।
২। চুল যদি বেশি তেলতেলে লাগে তবে অবিলম্বে ধুতে হবে। কেউ মাথায় তেল দেন নিয়মিত, কারও আবার মাথার ত্বকই তৈলাক্ত। এই ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ ধুলোবালি ও ঘামের সঙ্গে মিশে চুলের ক্ষতি করতে পারে।
৩। চুলে জট পড়লে বা চুলের কোনও অংশ দলা পাকিয়ে গেলেও ভাল করে ধুতে হবে মাথা। চুলে তেল ময়লা বেশি জমে গেলে বা দীর্ঘ সময় ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে থাকলে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। চুল ভাল করে ধুয়ে, কিছুটা শুকিয়ে গেলে ধীরে ধীরে আঁচড়াতে হবে চুল।
৪। চুল থেকে যদি গন্ধ বার হয়, তবে অবিলম্বে চুল ধুতে হবে। এমনকি যদি শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের গন্ধও দীর্ঘ সময় থেকে যায় তবে ধোয়া দরকার। চুলে হাত দেওয়ার পর যদি হাতে গন্ধ হয়ে যায় তবে তা মোটেও ভাল সঙ্কেত নয়।
৫। যদি চুলের গঠন আচমকা বদলে যায় তবে বুঝতে হবে চুলের অবস্থা ভাল নেই। অর্থাৎ কারও চুল যদি স্বাভাবিক ভাবেই কোঁকড়ানো হয় আর সেই চুল যদি সোজা হয়ে যেতে থাকে তবে বুঝতে হবে চুল ভাল করে সাফ করা দরকার। সোজা চুল হঠাৎ কুঁকড়ে গেলেও একই কথা প্রযোজ্য।