মুখ থেকে মেকআপ না তুলে ঘুমোনোর অভ্যাসে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
মেকআপ করার সময়ে যতটা ধৈর্য থাকে, তোলার সময়ে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে। আবার, পছন্দের লিপস্টিকে রাঙানো ঠোঁট কিংবা সুন্দর করে আঁকা চোখের মায়াও সহজে ত্যাগ করতে পারেন না অনেকে। দাম দিয়ে কেনা নামী সংস্থার প্রসাধনী নিরাপদ ভেবে অনেকেই তা মুখ থেকে পরিষ্কার না করে ঘুমিয়ে পড়েন। এর ফলে ত্বকের কী কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে?
চর্মরোগ চিকিৎসক তৃষ্ণা গুপ্ত বলেন, “ত্বকের উপর সারা রাত মেকআপের পরত থাকলে ত্বক ঠিক ভাবে শ্বাস নিতে পারে না। মৃত কোষের পরতও পুরু হতে থাকে। ফলে ত্বক জেল্লা হারায়। এ ছাড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের প্রক্রিয়াও শ্লথ হয়ে যায়।”
চোখে কাজল বা ঠোঁটে লিপস্টিক পরে ঘুমোলে কী কী সমস্যা হবে?
কাজল, আইলাইনার বা মাস্কারার মতো প্রসাধনী ছাড়া মেকআপ অসম্পূর্ণ। তবে চোখের বেশির ভাগ প্রসাধনীর মধ্যে কার্বন থাকে। সেই কার্বন চোখের পাতার একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত তৈলগ্রন্থিগুলির মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে সেখান থেকে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। চোখের পাতায় প্রদাহ, কনজাঙ্কটিভাইটিসের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাস্কারার ব্যবহারে চোখের পল্লব খসে পড়তে পারে। পছন্দের লিপস্টিক বা লিপ টিন্ট মেখে ঘুমোলে ঠোঁটের চামড়া অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ঠোঁট ফাটার সমস্যা অচিরেই বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়াও বিছানার চাদর বা বালিশের খোলে জমা হতে পারে মেকআপের অবশিষ্টাংশ। সেবাম, নানা রকম রাসায়নিক জমলে সেখানে বাসা বাঁধতে পারে ব্যাক্টেরিয়া। যা শুধু ত্বক নয়, চুলেরও ক্ষতি করতে পারে।