সর্ষে বাটা মাখলে ত্বকের লাবণ্য ফিরবে। ছবি: সংগৃহীত।
সর্ষের পরিচয় তার ঝাঁজে!
মাছ হোক বা নিরামিষ কোনও পদ— পোস্তর সঙ্গে একটু সর্ষে বেটে দিতে পারলে তার স্বাদ আরও খোলতাই হয়। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়, প্রয়োজনীয় নানা ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই বীজ ত্বকের যত্নেও কাজে লাগে। শীতকাল এলে সে কথা টের পাওয়া যায়। স্নানের আগে গায়ে সর্ষের তেল মাখার প্রয়োজন পড়ে। তবে সর্ষে বাটা দিয়েও যে ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনা যায়, তা হয়তো অনেকেরই অজানা।
মুখে সর্ষে মাখলে কী লাভ হবে?
১) নানা রকম ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ সর্ষে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রয়েছে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। ২০২৪ সালে ‘সায়েন্টিফিক আফ্রিকান’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ত্বকের বয়স ধরে রাখার কাজটি অনেকটাই ফ্যাটি অ্যাসিডের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ত্বক আর্দ্র রাখতে এবং কোলাজেন উৎপাদনের হার স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে এই অ্যাসিড।
২) ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে সর্ষে। শুষ্ক ত্বকে জেল্লা বৃদ্ধি করতে, পেলবতা বজায় রাখতেও সর্ষের জুড়ি নেই। ‘এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সর্ষে বীজে প্রোটিনের পরিমাণ ২৭ শতাংশ এবং প্রাকৃতিক তেলের পরিমাণ ৩১ শতাংশ। এই দু’টি উপাদান একত্রে ময়েশ্চারাইজ়ারের মতো কাজ করে।
৩) সর্ষে বীজে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান রয়েছে। যা ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। ‘জার্নাল অফ ডার্ম্যাটোলজি’তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সোরিয়াসিসের মতো রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাতেও এই বীজ কাজে লাগে।
মুখে সর্ষে কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) রাতে শোয়ার আগে মুখে, সারা দেহে সর্ষের তেল মালিশ করা যেতে পারে।
২) সাদা সর্ষে বেটে তার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে নিতে পারেন। মিনিট দশেক মেখে রেখে দিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
৩) নারকেল তেলের সঙ্গে খোসা-সহ সর্ষে বাটা মিশিয়ে এক্সফোলিয়েটর হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।