প্রতীকী ছবি।
বাতাসে টান ধরলে প্রথমেই সে কথা জানান দেয় আমাদের ঠোঁট। ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যাওয়া, ফাটা, মুখের চামড়া ওঠা, গাল ফাটা— সবই ধীরে ধীরে শুরু হয়। গা-হাত-পাও খসখসে হয়ে যায়। তাই আমরাও ক্রিম-ময়েশ্চারাইজার নিয়ে তৈরি হয়ে যাই। কিন্তু চুলেও যে শীতের প্রভাব পড়ছে, তা আমরা সহজে টের পাই না। অথচ এই সময়ে চুলের বাড়তি যত্ন না নিলে বেশ ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই কিছু সহজ নিয়ম মাথায় রাখুন।
১। শীতের শুরুতেই একবার চুল কেটে নিন। অনেক দিন চুল না কাটলে, নীচের দিকটা পাতলা এবং রুক্ষ হয়ে যায়। যদি সেটা কেটে না ফেলেন, তা হলে সেখানে পুষ্টি জোগাতে দ্বিগুন খাটতে হবে শরীরকে। তাতে বাকি চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না হতে পারে। এতে চুলের দুর্বলতা বাড়বে এবং তা়ড়াতাড়ি চুল পড়ে যাবে।
২। শীতে আমরা সকলে গরম জলে স্নান করি। কিন্তু মনে রাখবেন, চুলের জন্য খুব বেশি গরম জল ক্ষতিকর। চুলের স্বাভাবিক জেল্লা যদি ধরে রাখতে চান, তা হলে ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করুন চুল ধোওয়ার সময়ে।
৩। শীতে কি পাহাড়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? বা এমন কোনও জায়গায় যেখান তাপমাত্রা বেশ নীচের দিকেই থাকে? তা হলে চুল নরম এবং সুস্থ রাখতে কোনও টুপি বা স্কার্ফ দিয়ে অবশ্যই ঢেকে রাখুন। নয়তো চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যাবে।
৪। এই সময় চুল শুকোনোর যন্ত্র ব্যবহার না করে স্বাভাবিক ভাবেই চুল শুকিয়ে নিন। চুলে কায়দা করার জন্য অনেকেই নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করেন। এই সময় চুলের জন্য যন্ত্র বা প্রসাধনী যত কম ব্যবহার করবেন, ততই ভাল। তা হলে চুলের জেল্লা বজায় থাকবে। চুল শুকোনোর বা চুল সোজা করার মতো যন্ত্র এই সময়ে যত এড়িয়ে চলবেন, তত আপনার চুল সুস্থ থাকবে।
প্রতীকী ছবি।
৫। চুল শুকোনোর যন্ত্র ব্যবহার করবেন না বলে ভিজে চুলে বাইরেও বেরিয়ে যাবেন না। শীতে শহরের দূষণ বাড়ে। ভিজে চুলে তা প্রভাব ফেলবে বেশি। এতে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬। খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু করবেন না এই সময়ে। শ্যাম্পু করার আগে নারকেল তেল গরম করে অবশ্যই খানিক মালিশ করে কিছু ক্ষণ রেখে তবেই চুল ধুয়ে ফেলবেন। তেলের মালিশ শীতে চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি।
৭। সপ্তাহে একদিন চুলে ভাল ভাবে কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। একটা আধখানা কলা চটকে মধু দিয়ে মেখে নিন। চুলে লাগিয়ে রাখুন অন্তত ৪০ মিনিট। তার পরে কোনও হাল্কা ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।