ব্রণ হওয়ার আসলে কোনও বয়স নেই। ছবিঃ সংগৃহীত।
কোন ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলে, কী ধরনের প্রসাধনী মাখলে, কেমন ভাবে যত্ন নিলে ত্বক ভাল থাকবে— একরাশ প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে অনেকের মনেই। এ কথা ঠিক যে ত্বকের খেয়াল রাখা মোটেই সহজ কাজ নয়। ঠিক কোন পথে এগোলে মনের মতো ত্বক পাওয়া যাবে, এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বার করা সত্যিই কঠিন। বিশেষ করে ব্রণর সমস্যা কমবেশি সকলের মধ্যেই দেখা যায়। ব্রণ হওয়ার আসলে কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সে হতে পারে। তবে ব্রণ হওয়ার কারণ যা-ই হোক, সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম পথ হতে পারে কয়েকটি সব্জি।
গাজর
ত্বকের যত্নে গাজরের মতো উপকারী সব্জি খুব কমই আছে। গাজরে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা ত্বকের প্রতিটি কোষ সতেজ এবং সজীব রাখে। এ ছাড়াও গাজরের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বক টক্সিন মুক্ত রাখে। ফলে ব্রণর ঝুঁকি কম থাকে।
মিষ্টি আলু
মাটির তলার সব্জি। তাই স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে একেবারে খাঁটি। মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে। সেই সঙ্গে ব্রণ, র্যাশের সমস্যা থেকেও দূরে রাখে।
ক্যাপসিকাম
ভিটামিন সি হল ত্বক ভাল রাখার অন্যতম উপাদান। আর ক্যাপসিকামে ভিটামিন সি-র পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে এবং ব্রণর ঝুঁকি কমাতে ক্যাপসিকাম খুবই উপকারী।
টম্যাটো
শেষপাতে টম্যাটোর চাটনির কোনও বিকল্প নেই। টম্যাটো শুধু স্বাদের নয়, ত্বকেরও খেয়াল রাখে। টম্যাটোতে রয়েছে লাইকোপেনের মতো উপাদান। যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। অনেকেই ফেসপ্যাকে টম্যাটো ব্যবহার করেন। তবে টম্যাটো মাখার চেয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
পালং শাক
ওজন কমানো থেকে শুরু করে ব্রণ সারাতে— পালং শাক সত্যিই উপকারী। এই শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে-র মতো উপকারী উপাদান। সেই সঙ্গে রয়েছে আয়রন। নিয়ম করে যদি সত্যিই খেতে পারেন, ব্রণমুক্ত ত্বক পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।