সব্জি ও ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে মুখে মেখে নিতে পারেন। —প্রতীকী ছবি।
সব্জি থেকে ফলের খোসা, কেটে ফেলে দেন? জানেন, ফেলে না দিয়ে তা নানা কাজে লাগানো যায়? সব্জি ও ফলের গুণগুলি খোসাতেও থাকে। খোসা বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিগুণও খানিক বাদ পড়ে। তবে, এই খোসা কাজে লাগাতে পারেন রূপচর্চায়।
ত্বক ভাল রাখতে নানা রকম বাজারচলতি প্রসাধনী সকলেই কম-বেশি ব্যবহার করেন। জানেন কি, ত্বক ভাল রাখতে মুখে মাখার এই ধরনের অনেক প্রসাধনীতে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যা শরীরের জন্য ভাল নয়? এই ধরনের রাসায়নিক যুক্ত প্রসাধনী দীর্ঘ দিন ব্যবহার করলে, তার ক্ষতিকর প্রভাব শরীরে পড়তে পারে। বদলে প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে, জেল্লা ফেরার পাশাপাশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।
কলার খোসা
পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ কলা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল। নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ থাকে এতে। কলা খেলে পেট পরিষ্কার হয়। কলার এই পুষ্টিগুণের অনেকটাই থাকে খোসাতেও। এ ছাড়া থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। কলা ছাড়িয়ে নেওয়ার পর, খোসার ভিতরের অংশটি ব্যবহার করতে হবে মুখে। হাত-পায়েও তা ব্যবহার করা যায়। তবে এর আগে মুখ মৃদু কোনও ফেশওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। বা দুধ দিয়েও মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। কলার খোসা মুখে হালকা হাতে মাসাজ করে মিনিট ১০-১৫ রেখে ধুয়ে নিতে হবে। ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে ও জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করবে।
আলুর খোসা
অনেকেই আলু খোসা-সহ রান্না করেন। আলুর খোসা ভাজা খেতেও ভাল লাগে। তবে বেশির ভাগ সময় খোসাটি ছাড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়। আলুতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনলস, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভাল। আলুর খোসা ত্বকের কালচে ভাব, দাগ-ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। আলুর খোসা ধুয়ে থেঁতো করে সেই রস মুখে মাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই ত্বক হয়ে উঠবে ঝকঝকে।
শসার খোসা
শসাতে থাকে প্রচুর জল। ব্রণ, ত্বকের অতিরিক্ত তেল, কালচে দাগ-ছোপ তুলতে শসা বেশ উপকারি। এমনিতেও স্যালাড হিসাবে শসা খাওয়া হয়। শসার খোসায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও সিলিকা, যা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। শসার খোসার ভিতরের অংশটি মুখে হালকা হাতে ঘষে মিনিট ১০-১৫ রেখে ধুয়ে ফেললেই, ত্বক টানটান ও সুন্দর হয়ে উঠবে।