ঠোঁটে ‘ফিলার্স’ ব্যবহারের পর উরফি জাভেদ। ছবি: সংগৃহীত।
সে বহু যুগ আগের কথা বলিউডে সম্ভবত প্রথম বার অভিনেত্রী শ্রীদেবী নিজের নাকে অস্ত্রোপচার করিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। তাঁর ‘টিকালো’ নাক সেই সময়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। পরবর্তীকালে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেছিলেন অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিও। তবে এখন আর শুধু ‘নাক’ নয়, চাইলে দেহের অনেক কিছুই বদলে ফেলা যায়। ঠিক যেমন ভাবে একাধিক বার নিজের পাতলা ঠোঁট ‘ফিলার্স’ দিয়ে পুরু করিয়েছেন মডেল-অভিনেত্রী উরফি জাভেদ। তা করতে গিয়ে উরফির কী এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল যে, তা করার আগে সকলকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করছেন তিনি?
সমাজমাধ্যমে নিয়মিত যাতায়াত আছে যাঁদের, তাঁরা প্রায় সকলেই উরফি জাভেদকে চেনেন। ছক ভাঙা নানা রকম কাজ করে চর্চার কেন্দ্রে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে পুরনো বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে তিনি ঠোঁট পুরু করার ভাল-মন্দ সবটাই তুলে ধরেছেন। সেখানে উরফি লিখেছেন, ১৮ বছর বয়স থেকে ঠোঁটে ফিলার্স ব্যবহার করে আসছেন তিনি। সেই সময়ে তাঁর আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। দক্ষ চিকিৎকের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল খরচ। কম খরচে এই সব চিকিৎসার মান ভাল হয় না, জেনেও তা করিয়েছিলেন। যেমন ঠোঁট পাবেন বলে আশা করেছিলেন, তেমনটা তো হয়নি। উল্টে ঠোঁট বেশি ফুলে যায়। ফোলা ভাব কমাতে গিয়ে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল তাঁকে। এবং সেই পদ্ধতি যে কতটা কষ্টকর, সে কথাও তিনি নিজের পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
নানা প্রকার ‘আপাত স্থায়ী’ আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে মুখের খুঁত ঢেকে ফেলা বেশ সহজ হয়েছে ইদানীং। আগে এই চিকিৎসা পদ্ধতি এতটাই খরচসাপেক্ষ ছিল যে, তা সাধারণের ধরাছোঁয়ার নাগালের বাইরে ছিল। কিন্তু ‘কসমেটিক সার্জারি’-র চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে চিকিৎসাকেন্দ্র। তুলনায় কম দামে সেই সব চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের গড়ন পাল্টে ফেলছেন অনেকেই। তেমনই একটি চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে নিজের ঠোঁটের আকার পাল্টাতে গিয়েছিলেন উরফি। তবে এই সব চিকিৎসা করাতে তিনি একেবারেই বারণ করেননি। শুধু করানোর আগে চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকেন্দ্র সম্পর্কে ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে, ভাল করে যাচাই করে তবেই এগোতে বলছেন।