ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয় জগৎ থেকে দূরে রয়েছেন বেশ কিছু বছর। সন্তান-সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নিয়মিত সমাজমাধ্যমে সক্রিয় তিনি। নিজের শরীরচর্চা, ঘরকন্না, রোজনামচা নিয়ে নিয়মিত ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। ইতিমধ্যেই একজোড়া ‘নন-আইডেন্টিকাল’ যমজ সন্তানের মা-ও হয়েছেন তিনি। দু'-দু’বার এমন যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তাঁর শরীরের অবস্থা ঠিক কেমন, তা জানাতেই সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে ‘আস্ক মি এনিথিং’ নামক একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের ব্যবস্থা করেছিলেন সেলিনা। সেখানেই তাঁর এক অনুরাগী প্রশ্ন করেন, “আপনি কি স্বাভাবিক ভাবেই যমজ সন্তান গর্ভে ধারণ করেছিলেন, না কি আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছিলেন? কারণ দ্বিতীয় বার একই ভাবে যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল।”
নানা প্রশ্নের ভিড়ে সেলিনার নজর কেড়ে নেয় এই প্রশ্নটি। ২০১২ এবং ২০১৭ দু’বারই একই রকম ঘটনা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে দু’বারই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর সেই অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “যমজ সন্তান ধারণের নেপথ্যে রয়েছে আমার জিন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যমজ সন্তানেরা আইডেন্টিকাল বা একই রকম দেখতে হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা একটু আলাদা। দু’বারই আমি নন-আইডেন্টিকাল যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছি। প্রতি মাসে ডিম্বস্ফোটনের সময়ে সাধারণত একটি করে ডিম নির্গত হওয়ার কথা। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে দু'টি বা তার বেশি ডিম বেরোতেই পারে। এই বৈশিষ্ট্যটি সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে এই বৈশিষ্ট্যটি বংশ পরম্পরায় অর্থাৎ, জিনবাহিত হয়ে আসে।” সেলিনার অনুরাগীরা নিশ্চয়ই জানেন, ২০১৭ সালে সেলিনা দ্বিতীয় বার যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ঠিকই। তবে কিছু দিনের মধ্যেই এক জনের মৃত্যু হয়।