ত্বকচর্চায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন তুলসীপাতা? ছবি: সংগৃহীত।
সর্দিকাশির ঘরোয়া টোটকা হিসাবে তুলসীপাতা এবং মধু খাওয়ার চল বহু পুরনো। তুলসীপাতার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই দুইয়ের জুটি র্যাশ, ব্রণের মতো সমস্যা নিরাময়ে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তবে এখানেই শেষ নয়। তুলসীপাতার আরও অনেক গুণ রয়েছে। ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় শুধুমাত্র তুলসীপাতা ব্যবহারেই।
মুখে তুলসীপাতা মাখলে কী উপকার হবে?
১) তুলসীপাতার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত কমায়। ত্বকে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২) তুলসীর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখে। যা ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৩) স্পর্শকাতর ত্বকের অস্বস্তি কমাতেও সাহায্য করে তুলসী। র্যাশ, লালচে ভাব, এগজ়িমা এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তুলসীপাতা ত্বকে কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) একটি পাত্রে পরিমাণ মতো জল এবং এক মুঠো তুলসীপাতা ফুটিয়ে নিন। তার পর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তা পরিষ্কার কাচের শিশিতে ভরে ফেলুন। এই তরল টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তুলসীর টোনার স্প্রে করে নিতে পারেন। প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) কয়েকটি তুলসীপাতা বেটে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন মিনিট দশেক। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের উপদ্রব কমবে।
৩) তুলসীপাতা বেটে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে নিন। মিনিট পনেরো মুখে মেখে দিন। তার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাক মাখলে ত্বকের বয়য়জনিত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।