K-Beauty Tips

নেটফ্লিক্স সিরিজের তারকাদের কাচের মতো মসৃণ ত্বকের রহস্য কী? কী মাখেন কোরিয়ার সুন্দরীরা?

কোরিয়ার মহিলা হোক কিংবা পুরুষ, সকলেরই চেহারা দেখলে মনে হয় যেন আলোর ছটা বেরোচ্ছে। কাচের মতো মসৃণ ত্বকে দাগের ছিঁটেফোটাও নেই। কী দিয়ে রূপচর্চা করেন তাঁরা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ১৫:২৬
Share:

‘অল দ্য বয়েজ় আই হ্যাভ লভ্ড বিফোর’, কোরিয়ান ড্রামার দৃশ্যে অভিনেত্রী লানা কনডোর। ছবি: সংগৃহীত

তরুণ প্রজন্মের কাছে কোরিয়ার গান, ওয়েব সিরিজ় ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বাসে-ট্রামে উঠলেই কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ চেহারাগুলি চোখে পড়ে। কোরিয়ার তারকাদের গুণে যেমন মুগ্ধ অনেকে, তেমন তাঁদের ত্বকের জেল্লাও মন কেড়েছে অধিকাংশের। কোরিয়ার মহিলা হোক কিংবা পুরুষ, সকলেরই চেহারা দেখলে মনে হয় যেন আলোর ছটা বেরোচ্ছে। কাচের মতো মসৃণ ত্বকে দাগের ছিঁটেফোটাও নেই। ‘মাই লভ ফ্রম দ্য স্টার’-এর কিম সো হুন, জুন জি হুনই হোক কিংবা ‘কিল মি হিল মি’ ছবির জি সাং— কোরিয়ান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কোমল ও জেল্লাদার ত্বকের রহস্য কী জানেন?

Advertisement

কোরিয়ানরা বাজারচলতি প্রসাধনীর তুলনায় ঘরোয়া উপাদানগুলিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেন। কোরিয়ানদের মতো জেল্লাদার ত্বক কী ভাবে পাবেন, রইল তার হদিস।

অ্যালো ভেরা: কোরিয়ানরা নিয়মিত ত্বকে অ্যালো ভেরা ব্যবহার করেন। বাজার থেকে কিনে আনা জেল নয়, গাছ কেটে ভিতর থেকে শাঁসটা বার করে নিন। মুখে এক ঘণ্টা রেখে গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সুবিদার্থে একসঙ্গে অনেকটা শাঁস বার করে নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে ফ্রিজেও রেখে দিতে পারেন।

Advertisement

চিনির স্ক্রাব: ত্বকে মৃতকোষগুলি জমা হতে শুরু করলেই ত্বকের সমস্যা বাড়তে শুরু করে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে স্ক্রাব করা ভীষণ জরুরি। কোরিয়ানরা ব্রাউন সুগারের মধ্যে সামান্য জল দিয়ে মুখে স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করেন। সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে।

কোরিয়ানদের রূপচর্চার প্রধান উপকরণ কিন্তু ভাতের ফ্যান। ছবি: সংগৃহীত।

মধু: কোরিয়ানদের রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার বেশি হয়। বিভিন্ন ফেসপ্যাকে কোরিয়ানরা মধুর ব্যবহার করেন। এক চামচ মধুর মধ্যে সামান্য দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট পনেরো পরে গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

ভাতের ফ্যান: কোরিয়ানদের রূপচর্চার প্রধান উপকরণ কিন্তু ভাতের ফ্যান। ভাতের ফ্যানে রয়েছে পুষ্টিকর বহু উপাদান। এতে থাকে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ, ভিটামিন বি৬, অ্যামাইনো অ্যাসিডের মতো উপাদান। এই জল দিয়ে যদি ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া যায়, তবে তা নানা ভাবে উপকার করতে পারে। তবে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার না করে ফ্যান দু’-তিন দিন রেখে তার পর ব্যবহার করলে বেশি কাজ দেবে। স্প্রে বোতলে ভরে টোনারের মতো ব্যবহার করতে পারেন ভাতের ফ্যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement