Madhumita Sarcar

পুজো মানেই আমার কাছে নতুন জামা নয়, পুরনো শাড়িতেও দিব্যি সাজতে পারি: মধুমিতা

পুজোর সাজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ষষ্ঠী থেকে দশমীর সাজ নিয়ে প্রাথমিক একটা ভাবনা ভেবে রেখেছেন। পরে সময় এবং সুযোগ অনুযায়ী তা বদলে যেতে পারে। কী পরিকল্পনা মধুমিতার?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:১২
Share:

মধুমিতার পুজোর সাজকাহন। ছবি: সংগৃহীত।

ফোটোশুট হোক কিংবা কোনও অনুষ্ঠান, অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারকে শাড়িতে খুব কমই দেখা যায়। নায়িকার সমাজমাধ্যমে ঢুঁ দিলেও শাড়ি পরা ছবি হাতেগোনা কয়েকটি পাওয়া যাবে। তবে এই কারণে কেউ যদি ভাবেন যে, মধুমিতা শাড়ি পরতে ভালবাসেন না, তা হলে সেই ভাবনা একেবারেই মুছে ফেলা উচিত। কারণ মধুমিতা জানিয়েছেন, তিনি শাড়ি পরতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। বিভিন্ন কারণে সারা বছর শাড়ি পরা হয়তো কম হয়। তার মানে এমন একেবারেই নয় যে, শাড়ির প্রতি তাঁর কোনও প্রেম নেই। মধুমিতা বলেন, ‘‘শাড়ি পরতে আমি প্রচণ্ড ভালবাসি। আলমারিতে যে কত শাড়ি আছে, তার কোনও ইয়ত্তা নেই! পুজোয় তো আমি রোজ শাড়ি পরব।’’

Advertisement

চম্পাহাটির মেয়ে হলেও দুর্গাপুজোয় কলকাতা ছাড়া কিছু ভাবতে পারেন না মধুমিতা। ঘুরতে ভালবাসেন অসম্ভব। ছুটি পেলেই মাঝেমাঝে পাহাড়ে চলে যান। কিন্তু, পুজোর সময় মধুমিতা শহর ছেড়ে কোথাও যান না। আপাতত কাজের ব্যস্ততা নেই। পুজোর সাজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ষষ্ঠী থেকে দশমীর সাজ নিয়ে প্রাথমিক একটা ভাবনা ভেবে রেখেছেন। পরে সময় এবং সুযোগ অনুযায়ী তা বদলে যেতে পারে। মধুমিতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চতুর্থীর রাত পর্যন্ত তাঁকে অন্য কোনও পোশাকে দেখা যেতে পারে। কিন্তু ষষ্ঠীর সকাল থেকেই তিনি পুরোপুরি শাড়ি-মুডে চলে যাবেন। দশমী পর্যন্ত তাঁকে ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক আর শাড়িতেই দেখতে পাওয়া যাবে।

সারা বছর কেনাকাটা চলতেই থাকে মধুমিতার। যা কেনা হয়, তার অনেকগুলি সব সময় পরাও হয় না। আলমারিতেই পড়ে থাকে। আলাদা করে আর বলার দরকার পড়ে না যে, তার মধ্যে বেশির ভাগই শাড়ি। নতুন বেশ কয়েকটি এখনও রয়ে গিয়েছে। পুজোয় সেগুলি পরনে জড়াবেন নায়িকা। পুজোয় নিজের জন্য কিছুই কেনেননি তিনি? মধুমিতা বললেন, ‘‘উপহার পেয়েছি। বাড়ি থেকেও প্রাপ্তি হয়েছে। নিজের জন্য তাই আলাদা করে আর কিছু কিনিনি।’’

Advertisement

ছোটবেলায় পুজোর জামা নিয়ে আলাদা একটা উত্তেজনা থাকে। মধুমিতারও ছিল। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই উত্তেজনা ফিকে হয়েছে। এখন প্রায় বিলুপ্ত। পুজোয় নতুন জামা পরা নিয়ে মধুমিতার আর কোনও আলাদা উন্মাদনা নেই। পুরনো শাড়ি পরেও নাকি তিনি পুজো কাটিয়ে দিতে পারেন। নায়িকার মুখে এমন কথা অনেকেরই বিশ্বাস হতে না-ও পারে। তবে মধুমিতা অনায়াসে বললেন, ‘‘পুজোয় যে নতুন জামা পরতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। পুরনো পোশাকেও দিব্যি পুজোয় মজা করা যায়। আবার একটা শাড়ি হলেও অসুবিধা নেই। তা ছাড়া নতুন নতুন পোশাক হয়তো চাপানো হয়, কিন্তু মানুষগুলি তো একই থেকে যায়। বাহ্যিক সাজের জন্য এত নতুন, পুরনো নিয়ে ভাবি না।’’

মধুমিতার যে পুজোপাঠে বেশি মন, তা ইতিমধ্যে অনেকেই জেনে ফেলেছেন। সপ্তমী থেকে দশমী প্রতি দিন অঞ্জলি দেন তিনি। পঞ্জিকা মতে, এ বার সমস্ত আচারের ক্ষণ বেশ সকালের দিকে। তার মানে পরিপাটি করে সেজে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য সময়মতো মণ্ডপে পৌঁছতে হলে বেশ ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হবে। মধুমিতা কি পারবেন? নায়িকার উত্তর, ‘‘একদম পারব। সকাল উঠে স্নান সেরে শাড়িটা জড়িয়ে চোখে একটু কাজল লাগিয়েই মণ্ডপে ছুটব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement