চোখের রূপটান তোলা খুব কঠিন। ছবি: ফ্রিপিক।
গরমে কাজল পরার ঝক্কি অনেক। তার চেয়ে সুন্দর আইলাইনারের সাজ। গলে যাওয়ার সমস্যা নেই। এ দিকে স্টাইল হবে ষোলো আনা। ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনারই এখন বেশি পছন্দ করছেন মেয়েরা। ভ্যাপসা গরমে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে যেতে হলে বা পার্টি, ঘরোয়া আড্ডায় চটজলদি চোখের মেকআপ করতে ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনারই ভরসা। কিন্তু সমস্যাটা হয় আইলাইনার তোলার সময়। ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার মুছতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। কারণ জল দিয়ে এই আইলাইনার তোলা যায় না। তাহলে উপায়?
মেকআপ লাগানোর সময় আমরা যত্ন নিই, তোলার সময় ততটা নয়। কত ক্ষণে মুখ পরিষ্কার করব সে চিন্তা মাথায় থাকে। তাই অনেকেই ঠিকমতো চোখের বা ঠোঁটের মেকআপ তোলেন না। এটা ক্ষতিকর। চটজলদি ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার তুলতে অয়েল বেসড আই মেকআপ রিমুভার কাজে লাগাতে পারেন।
তুলো নিয়ে তাতে কিছুটা রিমুভার ঢালুন। তার পর চোখের উপর ১৫-২০ সেকেন্ড সেই তুলোটা চেপে রাখুন। তার পর ধীরে ধীরে মুছে নিন। কয়েক সেকেন্ডেই সমস্ত আইলাইনার উঠে যাবে।
মাইসেলার ওয়াটারে তুলো ভিজিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চোখের পাতা মুছতে থাকুন। ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার তুলতেও কিন্তু এটি সমানভাবে কার্যকরী। যে কোনও ধরনের ত্বকে এটি ব্যবহার করা যায়। আইলাইনার উঠে গেলে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
আমন্ড তেল বা নারকেল তেল দিয়েও ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার তুলতে পারেন। আমন্ড তেল ও নারকেল তেল দুটোই প্রাকৃতিক উপাদান। তাই ত্বকের কোনও ক্ষতি হবে না। আমন্ড তেল বা নারকেল তেলে তুলো ভিজিয়ে চোখের উপর ১৫ সেকেন্ড ধরে রাখলেই আইলাইনার উঠে যাবে। তার পর ভাল করে চোখের চারপাশ পরিষ্কার করে নিন।
রোজ মেকআপ করুন বা না করুন, চোখে কাজল আর মাস্কারা লাগান বেশির ভাগ বাঙালি মেয়ে। ‘স্মোকি আই’ বা অন্য কোনও ধরনের চোখের সাজও করে থাকেন অনেকে। চোখের রূপটান যেমন সাজকে অন্য মাত্রা দেয়, তেমনই এটি তোলাও কঠিন কাজ। নেকে জোর করে তোলার জন্য খুব বেশি ঘষাঘষি করে ফেলেন। তাতে চোখের ক্ষতিই বেশি হয়। মনে রাখবেন, চোখের চার পাশের চামড়া খুব পাতলা হওয়ায় সহজেই শুকিয়ে গিয়ে বলিরেখা পড়ে যাওয়ার সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।