ব্রণের দাগ সারাতে কী কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ব্রণের সমস্যা নতুন নয়। কম বয়সে তো হয়ই, এমনকি বয়স বাড়লেও এর হাত থেকে রেহাই নেই। ব্রণ যে শুধু নারীর সমস্যা, তা নয়। পুরুষরাও ব্রণ নিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েন। কমবয়সিদের মধ্যে ত্বক নিয়ে বাড়তি সচেতনতা রয়েছে। ব্রণ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করার একটা চেষ্টা তাঁদের মধ্যে রয়েছে। ব্রণ হলেও অনেক কষ্টে তা সারানো গেলেও দাগ থেকে যায়। ব্রণের দাগ সহজে যেতে চায় না। এই দাগ পুরোপুরি মুছতেও সময় লাগে। চেষ্টা করেও চলে যায়নি, এমন উদাহরণও রয়েছে।
আসলে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোনটা ব্রণের কারণে হওয়া দাগছোপ, আর কোনটা ব্রণের চিহ্ন। লাল বা বাদামি রঙের কোনও দাগ আসলে ব্রণ সেরে যাওয়ার পরে তৈরি হয়। ব্রণ কমে গেলেও অনেকের ত্বকে কালো দাগছোপে ভরে যায়। যেটি আসলে ‘হাইপারপিগমেন্টেশন’ নামে পরিচিত। ব্রণের থেকেও এই দাগগুলি নিয়ে যেন বেশি চিন্তিত থাকেন অনেকে। একটা ভয় কাজ করে মনের মধ্যে। আদৌ ত্বকের লাবণ্য ফিরে আসবে তো? এই ধরনের দাগ দূর করতে বাজারে অনেক প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে সবগুলি যে ফলদায়ক হবে, এমন নয়। কেনার আগে কয়েকটি জিনিস যাচাই করে নিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রসাধনীর উপকরণ। কোজ়িক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, অ্যাজেলাইক অ্যাসিড, আরবুটিন, ভিটামিন সি, হাইড্রোকুইনাইনের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধন সামগ্রী অনেক বেশি কার্যকর। এই উপাদান-সমৃদ্ধ প্রসাধনী ত্বকের দাগছোপ দূর করতে পারে।
ব্রণ কমে গিয়েছে মানেই, ত্বকের পরিচর্যায় ইতি টানলে চলবে না। ব্রণ কমে যাওয়ার পর ত্বকের যত্ন নিয়ে যেতে হবে নিয়ম করে। বিশেষ করে স্ক্রাবিং করা বন্ধ করলে চলবে না। স্ক্রাব করার ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়। রোমকূপে জমে থাকা ময়লা বাইরে বেরিয়ে যায়। দাগছোপ তৈরি হওয়ারও অবকাশ কম থাকে এর ফলে।