ব্লাশ লাগিয়ে মুখের গড়ন তীক্ষ্ণ করাও কি সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
পার্টি মেকআপ করবেন অথচ ব্লাশ ব্যবহার করবেন না, তা কি হয়? অনেকেই এর কদর বোঝেন না। ব্লাশ লাগালে মুখে আলাদা জেল্লা আসে। যদিও ব্লাশ লাগানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। ভুল জায়গায় লাগালে মেকআপ খারাপ হতে খুব বেশি সময় লাগে না। বিশেষ করে গোল মুখে ব্লাশ লাগানোর ঝক্কি অনেক। তবে ঠিক করে লাগাতে পারলে আলাদা করে কনট্যুর করার প্রয়োজন হবে না, আপনার মুখের গোলাকার অনেকটাই কমবে। জেনে নিন মুখে তীক্ষ্ণ ভাব আনতে ব্লাশ লাগানোর সময় কী কী মাথায় রাখতে হবে।
কোথায় লাগাবেন?
বেশির ভাগ মানুষ হাসির ভঙ্গিতে ব্লাশ লাগান। মানে হাসির সময়ে গালের যে অংশটুকু উঁচু হয়ে থাকে, শুধু সেখানেই গোল করে ব্লাশ ব্যবহার করেন কেউ কেউ। কিন্তু সেটা মারাত্মক ভুল। যখন না হেসে গম্ভীর হয়ে থাকবেন বা কথা বলবেন তখন ব্লাশের জায়গাটা ঝুলে যাবে। তাই চেষ্টা করুন গালের এই অংশের নীচ থেকে শুরু করে একটু কোনাকুনি ভাবে চুলের দিকে পর্যন্ত ব্লাশ লাগান। তাহলে মুখের গোলাকার কমবে।
মিশিয়ে নিন
ব্লাশ ভাল করে ব্লেন্ড না করলে কিন্তু মেকআপ মোটেও ভাল হয় না। গালের বাকি অংশ যখন ব্লাশটা বাকি মেকআপের সঙ্গে মেলাবেন তুলির টান যেন বাইরের দিকে এবং উপরের দিকে হয়। তবেই মুখের আকারে বদল আসবে।
শিমার ব্লাশ চলবে না
যাঁদের মুখ গোল তাঁদের ম্যাট ব্লাশ লাগানোই ভাল। চকচকে বা শিমারি ব্লাশ লাগালে আলো বেশি পড়বে। তাতে মুখ গোল দেখতে লাগবে বেশি।