—প্রতীকী চিত্র।
বর্ষাকালে ত্বকের সমস্যা একটু বেশি দেখা যায়। কখনও বৃষ্টিতে বা আবার কখনও ঘামে ভেজা জামা পরে র্যাশ বেরোয় ত্বকে। এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শরীর খারাপও যে হয় না তা নয়। তবে বর্ষার জল লেগে মুখে র্যাশ বেরোলে তার অস্বস্তি সহ্য করা দায়। কারও মুখ লাল হয়ে, জ্বালা করতে থাকে। কারও আবার চুলকানি হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটা সময়ে বৃষ্টিতে ভিজতে এত ভয় পেতেন না কেউ। কিন্তু এখন বৃষ্টির জলে এত ধূলোকণা ছাড়াও এত রকম দূষিত পদার্থ মিশে থাকে যে, তা গা-মাথায় পড়লে সমস্যা অবধারিত। ঠান্ডা লাগা তো আছেই, সঙ্গে মুখে র্যাশের সমস্যা হলে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন অনেকে। তবে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে।
১) অ্যালো ভেরা
ত্বকের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখতে অ্যালো ভেরা জেল অব্যর্থ। গাছের পাতা থেকে শাঁস বার করে জেল বানিয়ে নিতে পারলে তো খুবই ভাল। তবে তা না হলে দোকান থেকেও কিনে ফেলতে পারেন। যে কোনও ধরনের ত্বকে নিশ্চিন্তে এই জেল ব্যবহার করা যায়।
২) নিম
নিমের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। তাই বৃষ্টিতে ভিজে যদি র্যাশ বেরোয়, তা হলে নিমপাতা ফোটানো জলে মুখ ধুতে পারেন। অনেকেই আবার নিম তেল ব্যবহার করেন। র্যাশের উপর সরাসরি নিম তেলও মাখতে পারেন।
৩) আদা
আদাতে ‘জিনজেরল’ নামক একটি যৌগ রয়েছে। যা ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে দিতে পারে। আদাতেও বেশ কিছু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ রয়েছে। জলে, আদার কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে, তা ঠান্ডা হলে আক্রান্ত স্থানে লাগানো যেতে পারে।