চুল পড়ার সমস্যা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখেন। ছবি: সংগৃহীত।
মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, মানসিক চাপ, পুষ্টির অভাব সঠিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন না নেওয়া— চুল ঝরার অন্যতম কারণ এগুলিই। মাথায় চিরুনি চালালেই হাতে উঠে আসছে গোছা গোছা চুল। বাজার চলতি প্রসাধনী ব্যবহার করে সাময়িক উপকার মিললেও এর দীর্ঘস্থায়ী কোনও সুফল নেই। অনেক সময়ে এমন দেখা গিয়েছে যে, প্রসাধনীর ব্যবহারে চুল ঝরার পরিমাণ আরও বেড়ে গেল। চুল পড়া আটকাতে বেশ কিছু নিয়মও মেনে চলেন। চুল পড়ার সমস্যা কমাতে আবার অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখেন। কয়েকটি প্যাক রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করলে কমবে চুল পড়ার সমস্যা কমবে।
নারকেলের দুধ এবং কলা
চুলের যত্নে নারকেল তেলের উপকারিতা সকলেই জানেন। তবে নারকেলের দুধও কম উপকারী নয়। কলা আর নারকেল দুধের যুগলবন্দি চুল ঝরার সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দেবে। একটি পাকা কলা নিয়ে ভাল করে চটকে নিন। তার সঙ্গে আধ কাপ নারকেল দুধ মিশিয়ে মিক্সারে এক বার ঘুরিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ও ডগায় ভাল করে মেখে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করে নিন।
অ্যালো ভেরা
শুধু ত্বক নয়, চুলের যত্নে অ্যালো ভেরা দারুণ কার্যকরী। দূষণের হাত থেকে চুল বাঁচাতেও ভরসা রাখতে পারেন অ্যালো ভেরার উপর। ৪-৫ চামচ অ্যালো ভেরা জেল নিন। তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল, এক চামচ মধু, ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তার পর চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। চুল পড়া কমবে সেই সঙ্গে বাড়বে জেল্লাও।
দূষণের হাত থেকে চুল বাঁচাতেও ভরসা রাখতে পারেন অ্যালো ভেরার উপর। ছবি: সংগৃহীত।
ডিম আর মধু
চুল ঝরা আটকাতে ডিম এবং মধু দু’টোই দারুণ উপকরণ। চুল মসৃণ রাখা থেকে শুরু করে টাক পড়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান, সব লুকিয়ে রয়েছে এই দু’টি উপকরণে। তা ছাড়া ডিমে থাকা প্রোটিন চুলের অন্যতম পুষ্টি। একটি পাত্রে দু’টি ডিম ফাটিয়ে নিন। খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। তাতে মেশান এক চামচ মধু। মিশ্রণটি চুলে, মাথার ত্বকে ভাল করে মেখে নিন। ১০ মিনিট মতো রাখুন। চুল ঝরার সমস্যা কমবে নিমেষেই।