ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আখরোট ত্বকের বলিরেখা রোধ করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও চকচকে। ছবি- সংগৃহীত
আখরোটের জন্ম হল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং মধ্য এশিয়ার একটি বিশেষ অংশে। আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সামান্য পরিমাণ আখরোট রাখতে বলেন চিকিৎসকেরা। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। তবে আখরোট যে শুধু শরীরের যত্ন নেয় তা নয়, ত্বকের যত্নেও সমান ভাবে উপকারী আখরোট। আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, যা মানসিক চাপ কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আর মানসিক চাপ কমলে, মন ভাল থাকলে তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আখরোট ত্বকের বলিরেখা রোধ করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও চকচকে।
১) রক্ত পরিশ্রুত করে
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর আখরোট, শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। ফলে টক্সিন জমে ত্বকে র্যাশ, ব্রণ, ব্ল্যাকহেড্স বা হোয়াইড হেড্সের সমস্যাগুলিকে অনায়াসেই এড়িয়ে চলা যায়।
২) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে
রোজের খাদ্যতালিকায় আখরোট থাকলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। রোজ আখরোট খেতে না চাইলে আখরোটের তেল তৈরি করেও মাখতে পারেন। আখরোট ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে।
রোজের খাদ্যতালিকায় আখরোট থাকলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) চোখের তলার কালচে ছোপ দূর করে
অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুমের ঘাটতি প্রভৃতি কারণে চোখের তলায় কালি পড়ে যায়। রাত্রে শোয়ার আগে অল্প করে চোখের তলায় আখরোট তেল লাগাতে পারেন। নিয়মিত মাখতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে চোখের তলার কালি।