নেল এক্সটেনশন করানোর আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা জরুরি? ছবি- সংগৃহীত
নখ বাড়াতে গেলেই নখ ভেঙে যায়। তাই অনেক দিন ধরেই ভাবছেন ‘নেল এক্সটেনশন’ করাবেন। সামনেই বিয়ে, তাই নখ না বড় করলেই নয়। বন্ধুদেরও দেখেছেন নখে নানা রকম কারুকাজ করাতে। কিন্তু সেই শিল্প করাতে গিয়ে যে পরিমাণ টাকা খসাতে হবে, সে সব শুনে পিছিয়ে এসেছেন। শুধু তো টাকা খরচ নয়, ভালমন্দ নানা রকম চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ নখের মতো দেখতে একটি জিনিস আঠা দিয়ে নখের উপর বসিয়ে দেন, তার উপর কারুকাজ করেন। আবার কেউ জেলের মতো জিনিস দিয়ে নখের উপর কৃত্রিম নখ বানান। ও দিকে, নখ রাঙিয়ে তুললেই তো হল না, তা থেকে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে কিনা তা-ও জানতে হবে। সব দিক বিচার-বিবেচনা করে তবেই না মনের মতো নখ করাতে যাবেন।
নখ বড় করাতে যাওয়ার আগে কোন কোন বিষয়গুলি জানা অত্যন্ত জরুরি?
১) কত ক্ষণ সময় লাগে?
এখন শুধু নখ সাজানোর জন্য আলাদা সালোঁ তৈরি হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন মানের এবং দামের নখ সাজানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তবে নখ সাজাতে কত ক্ষণ সময় লাগবে, তা নির্ভর করবে নখের কারুকাজ এবং শিল্পীর দক্ষতার উপর।
আবার কেউ জেলের মতো জিনিস দিয়ে নখের উপর কৃত্রিম নখ বানান। ছবি- সংগৃহীত
২) কত দিন পর্যন্ত ভাল থাকে?
কী ধরনের কৃত্রিম নখ ব্যবহার করা হচ্ছে, কৃত্রিম নখের নীচ থেকে নিজের নখ কতটা বাড়ছে তার উপর নির্ভর করে সাজ কতটা ভাল থাকবে। সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকে। তবে নিয়মিত যদি কাপড় কাচা, ঘর মোছা বা বাসন মাজার মতো ঘর-গেরস্থালির কাজ করতে হয়, সে ক্ষেত্রে নখ ভাল না থাকার সম্ভাবনা বেশি।
৩) কেমন দাম?
নখের কারুকাজ কেমন, দৈর্ঘ্য কত এবং কী জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে দাম। তা ৫০০ থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্রথম বার নখ সাজানোর খরচা তুলনামূলক ভাবে বেশি। পরে শুধু টাচ-আপ করাতে খরচ বেশ অনেকটাই কম। যদি এক বার করে ভাল লাগে, নিয়মিত করাতে পারবেন বলে মনস্থির করেন, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সালোঁ তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম প্যাকেজের সুবিধাও দিয়ে থাকে।
৪) চাইলেই খুলে ফেলা যায়?
কৃত্রিম নখ কী দিয়ে করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করবে তা খুলতে আপনাকে কতটা ব্যয় করতে হবে। নখ খোলার জন্য এক ধরনের বিশেষ রিমুভার পাওয়া যায়। কখনও তা দিয়েও কাজ চলে, আবার কখনও ওই নখ খুলতে আবার পয়সা খরচ করে সালোঁতেও দৌড়তে হয়।
৫) শরীরের ক্ষতি করে?
যে ধরনের রাসায়নিক দিয়ে এই কৃত্রিম নখ তৈরি করা হয়, তা সকলের ত্বকের জন্য ভাল না-ও হতে পারে। নখ তৈরি করতে যে আঠা, জেল, রং, পলিশ ব্যবহার করা হয় সেখান থেকে অ্যালার্জি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ ছাড়া, ওই রাসায়নিক পেটে গেলেও সমস্যা হতে পারে।