দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষের আবরণ সরাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
গরমের দিনে নিজেকে তরতাজা রাখতে দিনে একাধিক বার স্নান করেন অনেকেই। তবে স্নান করলে আপনার ত্বকের জেল্লাও বাড়তে পারে শতগুণে, সে খবর রাখেন কি? ভাবছেন, তা কী করে সম্ভব? স্নানের জলে এ বার থেকে মেশান এই সব উপাদানগুলি। দেখবেন, রোগ তো দূরে পালাবেই, সঙ্গে ত্বকের জেল্লাও বাড়বে ষোলো আনা!
সৈন্ধব লবণ
এক বালতি জলে এক মুঠো সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে দু’-এক মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর স্নান সেরে ফেলুন সেই জল দিয়ে। সৈন্ধব লবণে আছে ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। তাই নিয়মিত এমন লবণ মেশানো জলে স্নান করলে পেশি ও গাঁটের ব্যথা তো কমবেই, সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম ত্বকের ক্ষতিকর কোষগুলিকে নিরাময় করে জেল্লা বাড়াতেও সাহায্য করে।
দুধ
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষের আবরণ সরাতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকের জেল্লা বাড়ে। তাই অনেক ত্বক বিশেষজ্ঞ সপ্তাহে তিন-চার দিন দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন। তা ছাড়াও এক বালতি জলে দু’-তিন কাপ দুধ মিশিয়ে সেই জলেও স্নান করা যেতে পারে। ত্বকের আর্দ্রতা ও জেল্লা ধরে রাখতে এই পন্থা দারুণ কার্যকর।
প্রতীকী ছবি
গ্রিন টি
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে চায়ের কোনও বিকল্প নেই। স্নানের জলের বালতিতে কয়েকটা টি-ব্যাগ কিছুক্ষণ ফেলে রাখুন। যখন দেখবেন জলের রং বদলে গিয়েছে, তখন সেই জলে স্নান করুন। সাধারণ চায়ের বদলে গ্রিন টি অথবা ক্যামোমিল টি ব্যবহার করলে কিন্তু আরও বেশি উপকার মিলবে।
নারকেল তেল
অল্প খরচেই ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চান? তা হলে এক বালতি জলে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত স্নান করুন। এই তেলে আছে নানা অ্যান্টি-মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, যা ত্বককে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।
গোলাপ জল
গরমকালে ত্বকে সংক্রমণের প্রকোপ বাড়ে। সেই সঙ্গে চুলকানি বা ঘামাচি তো রয়েছেই। এই সব সমস্যার দাওয়াই কিন্তু গোলাপ জল। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করা থেকে ত্বকের জেল্লা বাড়ানো— সবেতেই এর জুড়ি মেলা ভার। স্নানের জলে যদি গোলাপের পাপড়ি বা কয়েক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে স্নান করতে পারেন, তা হলে উপকার পাবেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।