— প্রতীকী ছবি।
মাথার চুল আর কিছুতেই মাথায় থাকছে না। ঘরের আনাচ-কানাচে, শৌচাগারের মেঝেতে, এমনকি রান্না করা খাবারের মধ্যেও চুল ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই নানা রকম তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করে দেখেছেন। সে সব মেখে কোনও কাজই হয়নি। চুলের মসৃণতা বজায় রাখতে, জেল্লা ধরে রাখতে অনেকেই স্পা করান। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, হেঁশেলের কয়েকটি উপকরণ দিয়ে সহজেই চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা যায়।
১) মধু
চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে মধু। রুক্ষ, ডগাফাটা চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করাই যায়।
২) নারকেল তেল
ডগাফাটার সমস্যায় দারুণ উপকারী নারকেল তেল। তা ছাড়া মাথার ত্বকে কোনও প্রকার সংক্রমণ হলে, তা-ও রোধ করতে পারে এই তেল।
—প্রতীকী ছবি।
৩) অ্যাভোকাডো
চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখতে, চুলকে আরও মসৃণ করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের জেল্লাও বজায় রাখে অ্যাভোকাডো।
৪) ডিম
প্রোটিন এবং বায়োটিন, এই দু'টি উপাদান চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিমে এই দু’টি উপাদানই রয়েছে। চুলের গোড়া মজবুত করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ডিম।
৫) কর্নফ্লাওয়ার
শ্যাম্পু করার পরেও মাথার ত্বক তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে? এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে কর্নফ্লাওয়ারে। চুলের জন্য ঘরোয়া কোনও প্যাকে মেশাতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার। অথবা কোথাও বেরোনোর আগে চুলের তৈলাক্ত ভাব কাটাতে পাউডারের মতো মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
৬) দই
মাথার ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করে দই। চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করে দই।
৭) কলা
খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এই ফল। চুল এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কলা দিয়ে মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
এই সমস্ত উপকরণের মধ্যে যে কোনও তিনটি বেছে নিন। এ বার সেগুলি ভাল করে মিশিয়ে নিন। কিন্তু এই মিশ্রণ চুলে মাখার আগে চুল ভাল করে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। যে কোনও মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। তোয়ালে দিয়ে খানিক ক্ষণ জড়িয়ে রাখুন। আধশুকনো অবস্থায় এই মিশ্রণ মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত মেখে নিন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। তবে খেয়াল রাখবেন, মাথার ত্বকে বা চুলের মধ্যে এই মিশ্রণের কোনও অংশ যেন আটকে না থাকে।