ত্বকে মেলানোসাইটের পরিমাণ বেশি হলে বাহমূলে কালো দাগছোপ পড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। ছবি: সংগৃহীত
হাতখোলা জামা বা হল্টার নেক পোশাক পড়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত হল দাগ ছোপ বিহীন বাহুমূল। এ দিকে হেয়ার রিমুভিং ক্রিমের ক্ষতিকারক রাসায়নিক। অন্যদিকে সময়ের অভাবে ও ওয়াক্সিং করে নেওয়ার ফলে বগলে কালো ছোপ পড়ে। অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকও শুষ্ক হয়ে পড়ে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত যাঁদের ত্বকে মেলানিন বা মেলানোসাইটের পরিমাণ বেশি তাঁদের বাহমূলে কালো দাগছোপ পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
এ ছাড়াও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে সুগন্ধি ব্যবহার করার ফলেও বগলে এ রকম কালো দাগছোপ পড়ে যেতে পারে।ওয়াক্সিং করার ফলে শরীরে এই অংশে মেলানিনের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় এই অংশে দাগছোপ থাকে বেশি। এগুলি ছাড়াও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও এ রকম হতে পারে। আবার বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বগলে কালো দাগছোপের কারণ হতে পারে।
শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও এ রকম হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
বগলে কালো দাগছোপের সমস্যা দূর করতে কোন বিষয়গুলি মেনে চলবেন?
১) অনেক দিন ধরে একই সুগন্ধি ব্যবহার না করে বরং মাঝেমাঝেই বদলে নিন।
২) ওয়াক্স করার ক্ষেত্রে রেজার ব্যবহার করার সময় বেশি চাপ না দেওয়াই ভাল। এর ফলে দাগছোপ পড়ে যেতে পারে।
৩) সানস্ক্রিন শুধু মুখের ত্বকের জন্য ব্যবহৃত প্রসাধনী নয়। গলায়, হাতে এমনকি, বগলেও তা ব্যবহার করতে পারেন। হাতকাটা জামা পরে বেরোনোর আগে হাতে এবং বাহুমূলে অনায়াসে মেখে নিতে পারেন সানস্ক্রিন।
৪) চাপা পোশাক পরলে অনেক সময় বাহুমূলের ত্বকে জামাকাপড়ের ঘষা লেগে দাগছোপ পড়ে যায়। ঢিলেঢালা পোশাক পরলে এই সমস্যা কম হয়।
৫) শরীরের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকলে বগলে দাগছোপ পড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।