পোশাকশিল্পী আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার পোশাকে সাজলেন অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
লোকে বলে সাজ হবে এমন, যাতে ‘স্পটলাইট’ ঘুরে যায় সে দিকেই। তেমনটাই হল। যখন তিনি পা রাখলেন, সকলের নজর পড়ল তাঁরই দিকে। অঙ্গে চুনি, পান্না শোভিত লাল জমকালো পোশাক। ব্যক্তিত্ব এবং সৌন্দর্য যেন সেই পোশাকের পরিপূরক হয়ে উঠেছে।
এলেন, সকলের নজরও কাড়লেন অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়া। দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে দীর্ঘ দিন ধরে চুটিয়ে অভিনয় করছেন তিনি। বি টাউনেও তাঁর পা পড়েছে। ‘স্ত্রী ২’ ছবিতে ‘আজ কি রাত’ গানের সঙ্গে তমন্না ভাটিয়ার শরীরী বিভঙ্গ মুগ্ধ করেছিল অনুরাগীদের।
শুধু শরীরী বিভঙ্গ বা রূপের জৌলুস নয়, জমকালো পোশাক এবং নিখুঁত সাজেও তিনি যে মন জয়ের ক্ষমতা রাখেন তা ফের প্রমাণ করলেন বাহুবলী খ্যাত অভিনেত্রী। মুম্বইয়ের পোশাকশিল্পী আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার তৈরি করা পোশাকে সেজেছিলেন তমান্না। তা নিয়েই বি টাউনে মুগ্ধতা।
মোগল ‘সেহরা’র কায়দায় পরা লাল শরারায় ‘স্পটলাইট’ কেড়ে নেন তমান্না। পোশাকের সৌন্দর্য, তা পরার কৌশল, সাযুজ্যপূর্ণ রূপটান সবটা মিলিয়েই আলোচনার মধ্যমণি হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী।
রক্তিম কুর্তিতে ছিল ঠাসা কাজ। পোশাকে শোভা পেয়েছে সোনালি সুতোর কারুকাজ, মুক্তোর আভা, পান্না, চুনির দ্যুতি। শিল্পীর হাতের নিখুঁত কাজে পোশাক জুড়েই ফুটে উঠেছে নকশা। বুক পর্যন্ত কাটা ছড়ানো গলার কুর্তির বুকের কাছে সোনালি সুতোর ঘন কাজ। ঘাড়ের কাছে শৌখিন কলার। কুর্তির নীচে রক্তাভ বর্ণের শরারা।
আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার তৈরি করা পোশাকে অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বর্ণনা এখানেই শেষ হয় না। পোশাকের জাঁকজমক বাড়িয়েছে কাঁধ থেকে ঝুলে থাকা মুক্তোখচিত অজস্র টাসেল। এরই সঙ্গে ঘরচোলা চওড়া পাড় জরির চটকদার ওড়নার সুন্দর প্লিটে খুলেছে শরারার বাহার।
ইদানীং অনেক বলি তারকাই বেছে নেন প্যাস্টেল, ঘিয়া, ন্যুড রঙের পোশাক। তবে গাঢ় রং জাঁকজমকপূর্ণ সাজও যে মোটেই ফ্যাশনে ‘অতীত’ হয়ে যায়নি, তা ফের প্রমাণ করলেন তমান্না, এমনটাই বলছেন ফ্যাশন ফিয়েস্তারা।
এমন পোশাকের সঙ্গে অভিনেত্রী কোনও রকম কানের দুল বা হার পরেননি। তবে হাতে ছিল মানানসই চুড়ির বাহার। রূপটান ছিল অতি সামান্য কিন্তু নিখুঁত। চোখে আইলাইনার, চুল টান করে বেঁধে খোঁপা করা মাথার উপরে, ঠোঁটে লালচে লিপস্টিকের ছোঁয়ায় অভিনেত্রীর নিজস্ব সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে আরও বেশি করে।