হেয়ার মাস্ক লাগানোর সময়ে মাথায় রাখতে হবে কিছু বিষয়। ছবি: সংগৃহীত
চুলের যত্নে ত্রুটি রাখছেন না। নিয়মিত তেল মালিশ করছেন। তারপর ভাল শ্যাম্পু করে কন্ডিশনারও লাগাচ্ছেন। সপ্তাহে মাঝে সময় বার করে মাস্কও লাগাচ্ছেন নানা রকম। তা-ও চুলে জেল্লা ফিরছে না কেন। দিন দিন আরও রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে। এ দিকে চুলের পিছনে খরচ করে অনেক দাম নিয়ে নানা রকম প্রসাধনী কিনে ফেলেছেন। তা-ও কোনও লাভ হচ্ছে বলে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মন খারাপ করার আগে দেখে নিন, নীচের ভুলগুলির মধ্যে কোনওটা আপনি করছেন কি না। কারণ মাস্ক লাগানোর পদ্ধতি কোনও ভুল থাকলে চুলে উল্টে ক্ষতি হয়ে যায় বেশি।
১। নোংরা চুলে লাগাবেন না
অনেক দিন ধরে হয়তো শ্যাম্পু করা হয়নি। তাতে মাথার তালুরে বেশ ধুলো-ময়লা জমে গিয়েছে। তার উপরেই যদি হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নেন, তা হলে কোনও লাভ হবে না। পরিষ্কার মাথায় মাস্ক লাগাতে হবে।
২। কী ধরনের মাস্ক
শুষ্ক চুলে দই মধুর মাস্ক কাজে দেবে। আবার খুশকি থাকলে প্রয়োজন লেবুর রস আর মুলতানি মাটির মাস্ক। কোন কাজের জন্য মাস্ক লাগাচ্ছেন, সেটা বুঝে উপকরণ বেছে নিন। আবার একই ভাবে বাজার থেকে কেনার সময়ে দেখে নিন কোন মাস্ক কোন ধরনের চুলের জন্য কার্যকর।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
৩। সমান ভাবে লাগান
মাস্ক লাগানোর পর সেটা সব চুলে যাতে সমান ভাবে ছড়িয়ে যায় সেটা দেখতে হবে। তাই মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে একটা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। তা হলে গোটা চুলে ভাল করে ছড়িয়ে যাবে।
৪। সপ্তাহে দু’বার
রোজ মাস্ক লাগানোর প্রয়োজন নেই। বরং তাতে চুল অনেক বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়তে পারে। সপ্তাহে দু’দিন মাস্ক লাগানোই যথেষ্ট।
৫। সারা রাত নয়
অনেকে মনে করেন মাথায় তেল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলে চুল বেশি ভাল হবে। তেমনই কেউ কেউ ভাবেন মাস্ক লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলে চুল বেশি নরম হবে। আদপে তা নয়। তেল মাসাজ করার কয়েক ঘণ্টা পর যেমন শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। তেমনই মাস্ক লাগনোর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। বেশি ক্ষণ রাখলে বরং চুলের ক্ষতি হতে পারে।