প্রতীকী ছবি।
ক্যাটরিনা কইফ সকালে উঠেই মুখে বরফ ঘষেন। কিয়ারা আডবাণী দই-মধুর প্রলেপ লাগান নিয়মিত। কেউ ভরসা রাখে ভারতীয় টোটকায়, কেউ মেনে চলেন কোরিয়ার রূপ-রহস্যের উপায়। এক মুহূর্তে খবরের কাগজে ত্বকের যত্ন নিয়ে কোনও প্রতিবেদন বেরোচ্ছে, পর মুহূর্তেই নেটমাধ্যমে কোনও নতুন পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে। এত কিছুর মাঝে আমরা অনেকেই ভুল যাই, প্রত্যেক মানুষের ত্বকের ধরন আলাদা। তাই একজনের টোটকায় অন্য জনের অ্যালার্জি হয়ে যেতে পারে। এই কথা জেনেও আমরা বার বার এক ভুল করে ফেলি।
প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞাপনী প্রচারের উস্কানিতে আমরা অনেক সময়ই পা দিয়ে ফেলি। অনেক ভুল তথ্য ঠিক বলে মেনে নিই। এবং সেগুলি মেনে ত্বকের আদপে ক্ষতি করে ফেলি বেশি। এমন কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা ভেঙে ফেলুন।
মেকআপ ওয়াইপ ছাড়া চলবে না
মেকআপ মোছার জন্য অনেকেই বাজার থেকে অ্যালকোহল দেওয়া টিস্যু ওয়াইপ কেনেন। কিন্তু মেকআপ তোলার এটাই কি একমাত্র উপায়? নারকেল তেল দিয়েই কাজ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় বেশি ভাল কাজ হয়। কারণ অ্যালকোহল অনেকের সহ্য হয় না। বরং ত্বকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। অ্যাকনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
যত দামি, তত ভাল
কোনও জিনিসের দাম বেশি বলেই সেটা মানে ভাল, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যে কোনও নতুন দ্রব্য কেনার সময় খেয়াল করুন সেটায় কি ধরনের উপকরণ রয়েছে। আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই হলে, যে কোনও দ্রব্য, যাতে এই ধরনের উপকরণ থাকবে, সেটাই আপনার পক্ষে কার্যকরী হতে পারে।
একটুই যথেষ্ট
ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার, ফেশিয়াল অয়েল বা অন্য যে কোনও ধরনের জিনিসের বিজ্ঞাপনে একটা কথা খুব শোনা যান। আঙুলে ডগায় অল্প একটু নিলেই গোটা মুখের জন্য যথেষ্ট। সত্যিই কি তাই? সাধারণ ত্বকে যেখানে দু’ফোটা ফেশিয়াল অয়েলে হয়ে যাবে, খুব শুষ্ক ত্বকেও কি একই ভাবে কাজ করবে? মনে হয় না। নিজের প্রয়োজন মতো পরিমাণ ব্যবহার করুন।
রূপ-নামচা মানলেই অ্যাকনের সমস্যা কমবে
সকাল-সন্ধ্যা ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং করলেই ত্বক হবে ঝকঝকে— এটা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। উল্টোপাল্টা খাওয়া, মানসিক চাপ, পেটের সমস্যা বা হরমোনাল কোনও সমস্যা থাকলেও অ্যাকনে হতে পারে। সেগুলো দূর করতে খালি রূপচর্চা যথেষ্ট নয়।