বিদেশি সংস্থার প্রসাধনী কিনতে টান পড়ে পকেটে। প্রতীকী ছবি।
ত্বকের যত্নে অনেকেই ভরসা রাখেন নামী-দামি সংস্থার বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর উপর। সাময়িক উপকার হয়তো মেলে এগুলির ব্যবহারে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোনও সুফল পাওয়া যায় না। ফলে একনাগাড়ে এগুলি ব্যবহার না করলে, ত্বক আবার আগের অবস্থাতেই ফিরে আসে। এই ধরনের বিদেশি সংস্থার প্রসাধনী কিনতে টান পড়ে পকেটে। পকেটের টান না বাড়িয়েও কিন্তু যত্ন নেওয়া যায় ত্বকের। শুধু মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। তাতেই ত্বকে আসবে ঔজ্জ্বল্য।
পর্যাপ্ত ঘুম
শরীরের জন্য তো বটেই, ত্বক ভাল রাখতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনো জরুরি। ঘুমোনোর সময় ত্বকের রক্ত চলাচল মসৃণ হয়। প্রতিটি কোষ সজীব থাকে ঘুমের সময়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘুমোনোর সময় ত্বকে যেন কোনও মেকআপ না থাকে। তা হলে কিন্তু ঘুমিয়েও কোনও লাভ হবে না।
মনে করে সানস্ক্রিন মাখুন
গ্রীষ্ম কিংবা বসন্ত, বাড়ি থেকে বেরোলে সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না। ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে অন্য কোনও বিকল্প নেই। বাইরে গেলে তো বটেই, এমনকি বাড়িতে থাকলেও রোজ ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। রোজ সানস্ক্রিন ব্যবহারে বলিরেখার মতো সমস্যা দূরে থাকবে।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা ছা়ড়াও ত্বকের ভালমন্দের দিকে নজর দিতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিতে সতর্ক হন। নিয়মিত স্নান কিংবা শ্যাম্পু করা কিন্তু পরিচ্ছন্নতার শেষ কথা নয়। চিরুনি পরিষ্কার রাখা, মেক আপের ব্রাশ, স্পঞ্জের যত্ন করা, বালিশের কভার বদলানো— এগুলিও মনে করা জরুরি। মুখ মুছতে কোনও শক্ত তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। নোংরা হাতে কখনও মুখে হাত দেবেন না। হাত ধুয়ে তবে মুখে হাত দিন।
প্রচুর পরিমাণে জল খান
ত্বকের যত্ন নেওয়ার অন্যতম একটি উপায় হল সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া। ত্বক ভিতর থেকে শুকিয়ে গেলে নানা সমস্যার জন্ম নেয়। তাই ত্বকের প্রতিটি কোষ সজীব রাখতে বেশি করে জল খান।
ত্বক মালিশ করুন
চামড়া টানটান রাখতে মাসাজ দারুণ কার্যকর। এতে রক্ত চলাচলও ভাল থাকে। রক্ত চলাচল সচল থাকলে ত্বকেও বাইরে থেকে একটা ঔজ্জ্বল্য আসে। ত্বক চকচকে হয়। ত্বক মালিশ করতে ব্যবহার করতে পারেন লোশন, তেল, ক্লিনজ়িং বাম।