করিনার সৌন্দর্যের রহস্য। ছবি: সংগৃহীত।
পর্দায় ইদানীং কম দেখা যায় তাঁকে। তবে পর্দায় এলে সমস্ত নজর কেড়ে নেন নিজের দিকে। তিনি করিনা কপূর খান। তার অন্যতম উদাহরণ সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ক্রিউ’। কৃতি শ্যানন এবং তব্বু থাকলেও করিনা নজর কেড়েছেন আলাদা করে। তবে শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও করিনা ততটাই চনমনে। দুই ছেলেকে সামলেও যে নিজেকে যে ভাবে পরিপাটি রেখেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার। ৪৩-এও করিনা এখনও যেন সেই ‘কভি খুশি কভি গম’-এর পূজা। গ্ল্যামার উপচে পড়ছে সইফ-ঘরনির। কোন রুটিন মেনে এমন সুন্দর তিনি?
জল খেতে ভোলেন না
সারা দিনে যতই ব্যস্ততা থাকুক, জল খেতে ভোলেন না করিনা। বাইরে থেকে যত্ন নেওয়ার বদলে ভিতর থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়ায় বিশ্বাসী তিনি। তাই কিছু সময় অন্তর জল খান করিনা। এর ফলে শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বেরিয়ে যায়। ত্বক মসৃণ এবং নরম হয়।
ক্লিনজ়িং
দিনে দু’বার ক্লিনজ়ার ব্যবহার করেন করিনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্লিনজ়িং করিনার রোজের রূপরুটিনের অন্যতম ধাপ। এর ফলে ত্বকে জমে থাকা নোংরা, তেলও বেরিয়ে যায়। ত্বক ভিতর থেকে সতেজ হয়ে ওঠে।
ময়েশ্চারাইজ়ারের ব্যবহার
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে জল খাওয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজ়ারও ব্যবহার করেন করিনা। ময়েশ্চারাইজ়ার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বক কোমল এবং মসৃণ রাখতে অন্য কোনও প্রসাধনী নয়, ময়েশ্চারাইজ়ারের উপরেই ভরসা রাখেন করিনা।
সানস্ক্রিন
শুটিংয়ের তাড়াহুড়োতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে কোনও দিন ভুল হয় না অভিনেত্রীর। করিনার ব্যাগে কিছু থাক বা না থাক, একটা সানস্ক্রিনের বোতল থাকেই। এসপিএফ ৩০-এর সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তিনি। আউটডোর শুটিং থাকলে করিনা প্রতি দু'ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন।