ঘরোয়া উপকরণেই স্বাস্থ্য ফিরবে ত্বকের। ছবি: ফ্রিপিক।
ছোটবেলায় বেসন আর ডাল বাটা মাখিয়ে স্নান করিয়ে দিতেন মা। স্কুল-কলেজের সময়ে যখন রোদে বেরিয়ে ত্বকে দাগছোপ পড়ত বা গুটি গুটি ব্রণ গজাত মুখে, তখনও মায়েদের টোটকাতেই কাজ হত বেশি। একেবারেই ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই রূপচর্চায় বিশ্বাসী ছিলেন মা-ঠাকুমারা। সে সময় বাজারচলতি এত প্রসাধনীর রমরমা ছিল না। সাধারণ ঘরোয়া উপকরণেই ত্বক থাকত স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, চকচকে। বাঙালি মায়েদের প্রিয় এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা আছে নিয়ম করে ব্যবহার করলে সাতদিনেই ত্বকের জেল্লা ফিরতে পারে।
১) দুধের স্বর। মনে করে দেখুন, রোদে পোড়া ত্বকে মায়েরা পরম স্নেহে দুধের স্বর মাখিয়ে দিতেন। কিছুদিনেই ত্বকের কালচে দাগ উঠে যেত। দুধে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মৃত কোষ তুলে দেয়। পরিষ্কার দেখায় ত্বক। চটজলদি জেল্লা ফিরে আসে।
২) ত্বকের পরিচর্যায় মায়েদের আরও এক ঘরোয়া টোটকা হল গোলাপ জল। গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে লাগালে তা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। মুখের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলিকে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা, ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গোলাপ জল বেশ কার্যকরী। ত্বকে প্রদাহ কমাতেও ভীষণ ভাল গোলাপ জল। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ক্লান্তির ছাপও মিলিয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি।
৩) বেসন আর মুসুর ডাল বাটা ছোটবেলায় হয়তো অনেকেই মেখেছেন। এই দুই উপাদানই প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার হিসেবে বেশ কার্যকরী। মুখে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করলে সপ্তাহে দু’-তিন দিন ডাল বাটা মাখলেই ত্বক টানটান হবে। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলেও মুসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
তিন টেবিল চামচ মুসুর ডাল বাটা, তিন টেবিল চামচ টক দই আর একই পরিমাণ বেসন ভাল বেশ করে মিশিয়ে নিন। ওই মিশ্রণে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে আবার ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এ বার ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না শুকোয়। তার পর জল দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পাবেন।