বেদনার খোসার গুণেই ত্বকে আসুক জেল্লা। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের জন্য বেদানা কতটা উপকারী তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। বেদানার গুণে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। বিশেষ করে অ্যানিমিয়া রোগে বেদানা তো ওষুধের মতো কাজ করে। বেদানা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বেদানা খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরাও। ফলের তো গুণ আছেই, পিছিয়ে নেই খোসাও। বেদানার খোসা ত্বকের জন্য বেশ ভাল। রূপচর্চায় যদি থাকে বেদানার খোসা, তা হলে রূপলাবণ্য নিয়ে ভাবতে হবে না। বেদানার খোসা কী ভাবে যত্ন নেয় ত্বকের?
অকালবার্ধক্য ঠেকায়
সঠিক যত্নের অভাবে কম বয়সেই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে। বেদানার খোসা সেই দাগছোপ পড়তে দেয় না। খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের প্রতিটি কোষে রক্ত চলাচল সচল রাখে। ভিতর থেকে টানটান রাখে ত্বক।
মরা চামড়া দূর করে
বেদানার খোসা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসাবে কাজ করে। ত্বকের মৃত চামড়া দূর করে। ত্বক তার নিজস্ব সজীবতা ফিরে পায়। ফলে ত্বক বাইরে থেকেও উজ্জ্বল দেখায়।
ত্বক মসৃণ করে
রুক্ষ ত্বকে সৌন্দর্যের পথে অন্যতম অন্তরায়। তাই রূপচর্চার প্রথম লক্ষ্য হওয়া জরুরি ত্বকে মসৃণ করে তোলা। বেদানার খোসা সে বিষয়ে অত্যন্ত উপকারী। বেদানার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়।
কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে
কোলাজেন হল ত্বকের পুষ্টি। ধারাবাহিক রূপচর্চার অভাবে অনেক সময় কোলাজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকে। তার ফলে ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। বেদানার খোসা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত কোলাজেন পেয়ে ত্বক ঝলমল করে ওঠে।