কৈশোরে ত্বকের যত্নের ধরন কি আলাদা? ছবি: ফ্রিপিক।
শিশুদের কোমল ত্বকের জন্য তৈরি হয় বিশেষ প্রসাধনী, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। বাদ দেওয়া হয় ক্ষতিকর রাসায়নিক। আবার প্রাপ্তবয়স্কদের ত্বকের ধরন যেহেতু আলাদা হয়, বড়দের প্রসাধনী, রূপচর্চার উপকরণেও ফারাক থাকে। আর এর মাঝে থাকে কিশোর-কিশোরীরা। বয়ঃসন্ধিতে থাকা ছেলেমেয়েরা।
হরমোনের তারতম্যের কারণে এই সময় তাদের অনেকেরই ব্রণ-সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। কারও কারও ত্বক স্পর্শকাতরও হয়। ফলে, প্রশ্ন থাকতেই পারে এই বয়সের ছেলেমেয়েরা ত্বকের যত্ন কী ভাবে নেবে?
গুরুগ্রামের ত্বকের চিকিৎসক গুরবীন ওয়ারাইচ গাড়েকর সমাজমাধ্যমে কৈশোরের রূপচর্চার সহজ কৌশল বাতলেছেন। তাঁর পরামর্শ, মৃদু প্রসাধনী ব্যবহারের।
দৈনিক রূপচর্চা: দিনের শুরুতে মুখ পরিষ্কার করতে হবে মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ বাছাই জরুরি।
মুখ পরিষ্কারের পর মাখতে হবে ময়েশ্চারাইজ়ার। ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে বেছে নিতে হবে হালকা জেল বেসড ময়েশ্চারাইজ়ার।
তবে যদি মুখে ব্রণ, কালো ছোপ বা অন্য সমস্যা থাকে তখন শুধু দৈনিক রূপচর্চা নয়, গুরবীন পরামর্শ দিচ্ছেন ত্বকের চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার। এটা-ওটা মাখার বদলে, পেশাদার কারও পরামর্শ জরুরি।
রাতের পরিচর্যা
মুখ ধোয়া: শুধু জল নয়, ত্বকে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কারে চিকিৎসকের পরামর্শ মৃদু কোনও ক্লিনজ়ার ব্যবহারের। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত ফেসওয়াশ ভাল।
মাখতে হবে ময়েশ্চারাইজ়ার। দিনে এবং রাতে ময়েশ্চারাইজ়ার, ফেসওয়াশ, ক্লিনজ়ার একই হতে পারে।
চুলের যত্ন
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুলের ধরন অনুযায়ী মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। মাথার ত্বক তৈলাক্ত হোক বা শুষ্ক, সালফেটবিহীন শ্যাম্পু বেছে নেওয়া জরুরি পরামর্শ চিকিৎসকের। খুশকির সমস্যা থাকলে সপ্তাহে এক দিন অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু মাখতে হবে।
তেল মাখলেই কি চুল ভাল হবে?
বহু তারকাই চুলে তেল মাখার কথা বলেন। বি-টাউনের অভিনেত্রী প্রীতি জ়িন্টা যেমন ঠাকুরমার টোটকা মেনে মাথার ত্বকে তেল মাখেন। তবে তেল মাসাজে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না চিকিৎসক। তিনি বরং তৈলাক্ত বা খুশকি যুক্ত চুলে তেল মাখতে বারণ করছেন। শুষ্ক চুলের জন্য অবশ্য নিয়ম আলাদা। সপ্তাহে দু’দিন তেল মালিশ করা যেতে পারে।
তবে একই সঙ্গে চিকিৎসক সতর্ক করছেন ত্বকের সমস্যা, ওজন নিয়ে বার বার নেতিবাচক কথা যেন তাদের না বলা হয়। বরং ব্রণ-সহ অন্য যে ধরনের সমস্যা এই বয়সে দেখা যায়, তা নিয়ে কিশোর-কিশোরীরা যাতে বেশি উদ্বিগ্ন না হয়, সে জন্য অভিভাবকদের বোঝানো প্রয়োজন বিষয়টি স্বাভাবিক।