কী ভাবে সাজলে ভাল লাগবে, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
বৃষ্টি হলেও গরম কমেনি। তাই এই সময়ে সান্ধ আড্ডা বা পার্টিতে যেতে হলে হ্যান্ডলুম পোশাকই হবে সবচেয়ে বেশি আরামদায়ক। শিফন, জর্জেট আর স্বচ্ছ নেটের পোশাকের ভিড়ে নিজেকে নজরকাড়া করে সাজাতে চাইলে বেছে নিতে পারেন সুতির হ্যান্ডলুমের পোশাকই।
হাতে কাজ করা নকশাদার পোশাক বেশ মানাবে। এখনকার দিনের হ্যান্ডলুম সুতির শাড়ি, এমনকি তাঁতের শাড়িও পছন্দ করছেন কমবয়সিরা। শাড়ি ছাড়াও সালোয়ার, আনারকালি, লেহঙ্গা, ড্রেস, জাম্পস্যুট— নানা ধরনের পোশাকে এখন পছন্দের কাপড় হ্যান্ডলুমই। সকলের নজর কাড়তে হ্যান্ডলুমের ক্রিম বা সাদা রঙের ব্লাউজের সঙ্গে প্রিন্টের লিনেন, খাদি বা সুতির ব্লাউজ বা ক্রপ টপ পরতে পারেন।
ফ্লোরাল বা স্ট্রাইপড টপের সঙ্গে বোহো বটমসের লুক এখন খুব চলছে। আরামদায়ক এই পোশাক পছন্দ করছেন বেশিরভাগই। হ্যান্ডলুমের ড্রেস বা সাধারণ শার্ট-প্যান্ট পরলে তাকে আকর্ষণীয় করতে সঙ্গে নিন জামদানি বা মিহি সুতোয় বোনা স্কার্ফ অথবা শ্রাগ।
একটু জমকালো সাজতে চাইলে বেছে নিন ফুশিয়া, হলুদ, টিয়া সবুজ, বাদামি, বা গেরুয়া রঙের হ্যান্ডলুমের শাড়ি। পশ্চিমী পোশাকে সাজতে হলে ইক্কত প্রিন্টের কোনও গাউন বা জামদানির কুর্তি পরতেই পারেন। পোশাক ছাড়াও বেছে নিতে পারেন হ্যান্ডলুমের ব্যাগ৷ সান্ধ্য পার্টিতে দারুণ মানাবে।
হ্যান্ডলুমের পোশাকের সঙ্গে সবচেয়ে ভাল মানাবে কাপড়ের বা মাটির গয়না। টেরাকোটার গয়না তো আছেই। অক্সিডাইজড ছোট দুল, লেয়ার নেকলেস বা হাতের নানা ধরনের গয়না কিনে রাখলে যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যাবে। পোশাকের সঙ্গে মানাসই পুঁতি-বিডসের মালা, ধাতুর তৈরি কোমর বিছে বা বাজুবন্ধ পরতে পারেন। পোড়ামাটির দুল, বাঁশ অথবা ঝিনুক দিয়ে তৈরি হার, কাঠের ক্লিপের পাশাপাশি কড়ি আর পুঁতির মিলমিশে তৈরি গয়নাও বেশ মানাবে।