বয়স ৬০ পেরিয়ে অভিনেত্রীর লাবণ্য চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্কে ইতি টানেন ২০১০ সালে। তার পরই প্রচারের আলো থেকে দূরে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী এবং সলমন খানের প্রাক্তন প্রেমিকা সঙ্গীতা বিজলানি। নব্বইয়ের দশকে বলিপাড়ার চর্চিত একটি জুটি সলমন-সঙ্গীতা। প্রেমের সম্পর্কে ছাঁদনাতলা পর্যন্ত গড়ানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা হয়নি। তবে সম্প্রতি সলমন আর সঙ্গীতা ফের ধরা দিয়েছিলেন একফ্রেমে। সলমনের ৫৭ বছরের জন্মদিনে মধ্যরাতের উদ্যাপনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত ছিলেন সঙ্গীতা। পার্টিশেষে প্রাক্তন প্রেমিকাকে গাড়িতে তুলে দিতে এসে তাঁর ললাটে একে দিলেন চুম্বন। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
সঙ্গীতা সলমনের চেয়ে বছর পাঁচেকের বড়। অথচ বয়স ৬০ পেরিয়ে অভিনেত্রীর লাবণ্য চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। বড় পর্দায় তাঁকে দেখা না গেলেও, সামাজিক মাধ্যমে কিন্তু বেশ সক্রিয় তিনি। প্রায়ই বিভিন্ন সাজপোশাকে নিজের ছবি দেন সেখানে। একটা সময়ের পর থেকে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। সঙ্গীতাকে দেখলে মনে হয় প্রকৃতির নিয়ম বোধহয় সঙ্গীতার জন্য প্রযোজ্য নয়।
ত্বকের যত্ন নিতে বেশ পরিশ্রম করেন সঙ্গীতা। তিনি বিশ্বাস করেন, ত্বক ভাল থাকবে শুধু প্রসাধনীর ব্যবহারে নয়। বরং সঠিক নিয়ম মানলেই তা সম্ভব। তাই ত্বকের যত্নে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে বেশি নজর দেন তিনি। রোজ ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খান তিনি। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। এটাই নাকি তাঁর উজ্জ্বল ত্বকের আসল রহস্য।
পার্টি শেষে প্রাক্তন প্রেমিকাকে গাড়িতে তুলে দিতে এসে তাঁর ললাটে একে দিলেন চুম্বন। ছবি: সংগৃহীত
খুব প্রয়োজন না পড়লে মেকআপ করতে পছন্দ করেন না। করেনও না। প্রাকৃতিক জিনিসেই তাঁর ভরসা বরাবর। ঘরোয়া উপায়েই ত্বকের খেয়াল রাখেন সঙ্গীতা। শরীরচর্চার উদ্দেশ্য যে শুধু ওজন ঝরানো, তা কিন্তু নয়। বরং নিজস্ব গ্ল্যামার ধরে রাখতে রোজ শীর্ষাসন করেন তিনি। এতে ভাল থাকে চুলও। নামীদামি সংস্থার প্রসাধন সামগ্রী নয়। লেবুর খোসা স্ক্রাবার হিসাবে ব্যবহার করেন।