সরস্বতী পুজোয় মায়ের শাড়ি পরবেন বলে স্থির করেছেন? ফাইল চিত্র।
বছরের আর পাঁচটা দিনে শাড়ি নিয়ে ততটাও মাতামাতি না করলেও সরস্বতী পুজোর দিন শাড়ি পড়া চাই-ই-চাই। বাগ্দেবীর আরাধনা হবে আর শাড়ি পরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হবে না, তাই আবার হয় নাকি! অনেকে আবার এমনও আছেন, যাঁদের মনে ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। শাড়ি যদি খুলে যায় তাহলে কী হবে, এই চিন্তাই সারা ক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। অথচ কয়েকটি টোটকা জানলেই হবে মুশকিল আসান। শাড়ি পরার সময়ে কী কী ফন্দি-ফিকির মেনে চলবেন, আপনার জন্য রইল তার হদিস।
১) মায়ের শাড়ি পরবেন বলে স্থির করেছেন? শাড়ি পরার সময়ে সেফটি পিনের জন্য অনেক ভাল শাড়ি নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু! দামি শাড়ি সেফটি পিনের কারণে ছিঁড়ে গেলে আক্ষেপের শেষ থাকবে না। উপরন্তু মায়ের বকুনি তো আছেই। সেফটি পিনে একটি মুক্তো ঢুকিয়ে নিলেই হবে সমস্যার সমাধান। মুক্ত না পেলে বোতাম, টিস্যু দিয়েও হতে পারে মুশকিল আসান।
২) শাড়িতে যত কুঁচি পড়বে, দেখতে ততই ভাল লাগে। এ ক্ষেত্রে শাড়িটি প্রথম কোথায় গুজছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ। নাভি থেকে ডান দিকে সরিয়ে শাড়ির কোনা গুঁজতে শুরু করুন। তা হলেই বেশি কুঁচি পড়বে।
৩) অনেকেই একটু কারুকাজ করা জুতো পরতে ভালবাসেন। এই জুতো পরলে কিন্তু হাঁটার সময়ে তাতে শাড়ি আটকে ছিঁড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে জুতোর উপর মোমের ফোঁটা ফেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘষে নিতে হবে। তা হলে জুতোর চাকচিক্যও বাড়বে আর জুতোর উপরে থাকা পাথরের তীক্ষ্মতাও কমবে।
৪) অনেকেই মোটা লাগবে ভেবে শাড়ি পরতে চান না। সঠিক কায়দা জানলে মোটেই মোটা লাগে না। প্লিট করে শাড়ি পড়ার সময় সব সময়ে খেয়াল করতে হবে যেন, প্লিট কাঁধের বাইরে বেরিয়ে না যায়। প্লিট করে শাড়ি পড়ার সময়ে চওড়া পাড়ের শাড়ি এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫) অনেকের ধারণা, শাড়ি পরলে বেঁটে লাগে। প্লিট করে শাড়ি পরার সময়ে আঁচলের দৈর্ঘ্য যেন হাঁটুর নীচে থাকে, সে দিকে খেয়াল করতে হবে। আঁচল যত লম্বা হবে, দেখতে ততটাই লম্বা লাগবে।