ফোটোশুট করে প্রচারের আলোয় চলে এসেছিলেন নর্তকী ও মডেল সালমা আল সিমি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
পিছনে মিশরের পিরামিড। আর তার বিস্তীর্ণ বালুরাশির সামনে হেঁটে আসছেন এক মডেল। পরনে প্রাচীন মিশরীয়দের মতো আঁটোসাঁটো পোশাক। এমনই এক ফোটোশুট করে প্রচারের আলোয় চলে এসেছিলেন নর্তকী ও মডেল সালমা আল সিমি। কিন্তু সেই ফোটোশুটে প্রচারের আলো পেলেও তার পরই জেলে যেতে হয় তাঁকে। ওই মডেল এবং চিত্রগ্রাহককে আটক করেছিল মিশরের পুলিশ। সেই মডেল সালমা আল সিমিই ফের প্রচারের আলোয়। এ বার অবশ্য বিতর্কের কারণে নয়, বরং সাজগোজের জন্য।
ইনস্টাগ্রামে মডেল ধরা দিয়েছেন সবুজ একটি পোশাকে। সবুজ একটি ‘অফশোল্ডার’ টপ পরে দু’টি ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি। সঙ্গে একই রঙের আঁটসাঁট ফুল প্যান্ট। পায়ে কালো রঙের উঁচু হিলের জুতো। ইনস্টাগ্রামে ৭ লক্ষ ছত্রিশ হাজার অনুরাগী রয়েছেন তাঁর। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ছবিগুলি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মিশরের পিরামিডের সামনে ফারাওদের মতো পোশাক পরে ‘অশ্লীল’ ফোটোশুটের অভিযোগ ওঠে সালমার বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় সালমা ও তাঁর চিত্রগ্রাহককে। কায়রোর দক্ষিণে সাকারা নেক্রোপলিসের বিভিন্ন পিরামিডের সামনে সাদা রঙের একটি পোশাক পরে ফোটোশুট করেছিলেন সালমা আল সিমি। ছবিগুলি তোলেন হৌসা মহম্মদ নামের এক চিত্রগ্রাহক। প্রশাসনের তরফ থেকেই সাফাই দেওয়া হয়, পোশাকের জন্য নয়, বরং এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার আগে কোনও অনুমতি নেননি সালমারা। সে কারণেই তাঁদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা বিষয়টি সামনে আসতেই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান বহু মানুষ। পরের দিনই তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।