ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়ে হবু মায়েদের বেশ সতর্ক থাকতে হয়। ছবি- সংগৃহীত
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ে অনেকেই নিজের ঠিক মতো যত্ন নেন না। অনেকে এমন থাকেন, যাঁরা তেমন পরিচর্যা না করলেও হরমোনের প্রভাবে তাঁদের ত্বকের জেল্লা বাড়ে। আবার এমন অনেকেই থাকেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যাঁদের ত্বক জেল্লাহীন হয়ে পড়ে। পায়ের তলা ফেটে যায়, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে চোখের তলায় কালি পড়তে শুরু করে।
ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়ে হবু মায়েদের বেশ সতর্ক থাকতে হয়। বিশেষ করে নামী-দামি সংস্থার প্রসাধনী ব্যবহার করার সময় নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীতে বেঞ্জল প্যারাঅক্সাইড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড, টেট্রাসাইক্লিন নামক যৌগ থাকে। যা হবু মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। তবে ঠোঁট ফেটে গেলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা কোন প্রকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখবেন?
নারকেল তেল
খাঁটি নারকেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। এই তেল কয়েক ফোঁটা আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে মালিশ করুন প্রত্যেক দিন। তা হলে ঠোঁট চকচক করবে এবং সুস্থ নরম হয়ে উঠবে।
মধু
মধু যে কোনও কাটা-ছেড়ায় দারুণ কাজ দেয়। সঙ্গে ত্বক আর্দ্রও করে। মধু ঠোঁটে লাগিয়ে মালিশ করে নিন। কিছু ক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
কোকো বাটার
কোকো বীজ থেকে তৈরি কোকো বাটার ত্বকের আর্দ্রভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঠোঁট ফেটে গেলে রোজ রাতে কোকো বাটার লাগিয়ে শুতে পারেন। সপ্তাহ খানেকেই দূর হবে সমস্যা।
তবে ঠোঁট ফেটে গেলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা কোন প্রকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখবেন? ছবি- সংগৃহীত
জোজোবা অয়েল
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ত্বকের যত্ন নিতে হলে এই তেলের উপর ভরসা করতেই পারেন। ঠোঁট ফাটার সমস্যাতেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকা ভিটামিন বি ও ই ঠোঁটের মেরামতে সাহায্য করে।
চিনি
অলিভ অয়েল, মধু আর চিনি দিয়ে একটি স্ক্রাব বানিয়ে নিন। শুকনো চামড়া এবং মৃত কোষ দূর করতে চিনির জুড়ি মেলা ভার। প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসাবে চিনির দানা ভাল কাজে দেয়। এই স্ক্রাব সপ্তাহে এক দিন করে ব্যবহার করতে পারেন। লাগানোর পর কিছু ক্ষণ রেখে আলতো হাতে ভাল করে ঘষে নিন। তার পর ধুয়ে ফেলে লিপ বাম লাগিয়ে নেবেন।