চুলের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
লম্বা চুলের স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। কিন্তু পূরণ হয় কমজনের। চেষ্টা করেও যাঁদের চুল লম্বা হয় না, সেক্ষেত্রে যত্নআত্তিতে কোনও ত্রুটি থেকে যায় কিনা সেটাও একটা আলোচনার বিষয়। সঠিক খাওয়াদাওয়া, চুলের বৃদ্ধির হার, পর্যাপ্ত যত্ন— লম্বা চুলের স্বপ্নপূরণ করতে এই বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া জরুরি। তবে অনেকেই এগুলির বদলে বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহারেই সবচেয়ে বেশি জোর দেন। তাতেই বাঁধে বিপত্তি। লাভ বিশেষ কিছুই হয় না, উল্টে ক্ষতি হয়। তবে প্রসাধনীর বদলে চুলের দেখভাল করতে যদি কয়েকটি তেলের উপর ভরসা রাখতে পারেন, তা হলে সুফল পেতে পারেন।
অলিভ অয়েল
খেলে তো উপকার পাবেনই, তবে মাখলেও চুল লম্বা হবে। অলিভ অয়েলে রয়েছে নানা পুষ্টিকর উপাদান। অলিভ চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এই তেল। ফলে চুলের বৃদ্ধিও হয় মসৃণ ভাবে।
পেঁয়াজের তেল
চুলের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে এই তেলে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি, অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপকারী সব উপাদান। এগুলি চুলে পুষ্টি জোগায়। চুল লম্বা হতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ তেলের নিয়মিত ব্যবহারে চুল কম পড়ে। চুল মসৃণ হয়। ধৈর্য ধরে ব্যবহার করতে পারলে লম্বা চুলের স্বপ্নও সত্যি হবে।
রোজমেরি অয়েল
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের যত্ন নেয় রোজমেরি তেল। একসঙ্গেই খুশকির সমস্যা যাঁদের রয়েছে, এই তেলে সমাধান আছে তারও। এই তেলের রোজমেরিক এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড মাথার ত্বকের রক্তসঞ্চালন সচল রাখে। ফলে চুল ঝরার পরিমাণ অনেকে কমে। সেই সঙ্গে চুল লম্বাও হয়। নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
ক্যাস্টর অয়েল
এই তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান। যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। অনেকের চুল ঘন হলেও লম্বা হতে চায় না কিছুতেই। সে ক্ষেত্রে এই তেল বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মাথার ত্বকে ক্যাস্টর অয়েল মাখলে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকে। ক্যাস্টর অয়েল চুলে মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন। তার পর তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে চুলে জড়িয়ে নিন। চাইলে সে দিন অথবা পরের দিন শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।