ঘরোয়া সিরাম ব্যবহার করুন। ছবি:সংগৃহীত।
ত্বকের দেখাশোনায় সিরাম ব্যবহার করেন অনেকেই। ত্বক ভিতর থেকে জেল্লাদার করে তুলতে সিরাম বেশ উপকারী। ত্বকে পুষ্টি জোগায় এই প্রসাধনী। নিয়ম করে সিরাম ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যা কমে যায়। তবে সকলের ত্বকের ধরন এক রকম নয়। তৈলাক্ত ত্বকে যে সিরাম ব্যবহার করা যায়, শুষ্ক ত্বকে সেই সিরাম ব্যবহার করলে কোনও সুফল পাওয়া যায় না। সিরামের কার্যকারিতা জানলেও নিজের ত্বকের জন্য কোন সিরাম ভাল হবে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। ত্বক অনুযায়ী সিরাম দোকানে পাওয়া যায়। তবে সেগুলি কতটা ফল দেয়, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তার চেয়ে ত্বকের ধরন বুঝে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন সিরাম।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বক ভাল রাখতে সিরাম হল উল্লেখযোগ্য প্রসাধনী। ত্বকের মসৃণতা আনতে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন ঘরোয়া সিরাম। নারকেল তেল, মধু আর অ্যালোভেরা জেল— এই তিন উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বেশি হয়। ফলে এ ধরনের ত্বকেও বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। তৈলাক্ত ত্বক ভাল রাখতে সিরাম খুব প্রয়োজনীয়। তবে তৈলাক্ত ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়। বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহারে হিতে বিপরীত হতে পারে। তার চেয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন সিরাম। অ্যাপল সিডার ভিনিগার, টি ট্রি অয়েল এবং মধু এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিন সিরাম। ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণ কম হবে।
স্পর্শকাতর ত্বক
ত্বক স্পর্শকাতর হলে বাজারচলতি প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি। ঘরোয়া উপকরণও খুব সাবধান হয়ে ব্যবহার করা উচিত। নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার না করে স্পর্শকাতর ত্বক ভাল রাখতে সিরাম অন্যতম উপায় হতে পারে। আপনার ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয় তা হলে বাড়িতেই সিরাম বানিয়ে নিন। কাঁচা দুধ, মধু এবং গোলাপ জল— ত্বকচর্চার অন্যতম এই উপকরণগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে সিরাম তৈরি করুন। নিয়ম করে ব্যবহার করলে ত্বক ভাল থাকবে।