মডেলদের সিঁথিতে দেখা গেল লাল, মেরুন, গোলাপি সিঁদুরের বাহার। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার র্যাম্পে মডেলদের মাথায় সিঁদুর! আমেরিকায় এমন সাজেই দেখা দিলেন মডেলরা।
কিন্তু এ ভাবে কে সাজালেন তাঁদের? কেনই বা? বিভিন্ন ভাবনা নিয়ে আসেন এক এক জন পোশাকশিল্পী। এ বছর নিউ ইয়র্কের ফ্যাশন হুইকের সেই মডেলদের দেখে চর্চা শুরু হল ফ্যাশন দুনিয়ায়। এই সাজের নেপথ্যে নেপালি-আমেরিকান পোশাকশিল্পী প্রবাল গুরুং। তিনি হিন্দু জাতির পৃষ্ঠপোষক আর হিন্দুদের রীতিনীতির ঝলক তাঁর বানানো পোশাকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে বিদেশি মডেলেদের সিঁদুর পরিয়ে র্যাম্পে হাঁটালেন প্রবাল।
নেপালের ‘অনিচা’ রীতির সঙ্গে পাশ্চাত্য পোশাকের মেলবন্ধন করিয়েছেন প্রবাল। নেপালের ‘অনিচা’ রীতিতে স্বামীর অস্তিত্ব বোঝাতে মহিলারা সিঁদুর পরেন সিঁথিতে। ঠিক যেমনটা ভারতীয় হিন্দু মহিলারা পরেন। আর সেই কারণেই মডেলদের পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে মানানসই রঙের সিঁদুর পরিয়ে তাঁদের র্যাম্পে হাঁটালেন পোশাকশিল্পী। মডেলদের সিঁথিতে। দেখা গেল লাল, মেরুন, গোলাপি সিঁদুরের বাহার।
সম্প্রতি প্রবাল ১০ দিনের ‘ভিপাসনা’ ধ্যানের একটি কর্মসূচিতে যোগদান করেন। যেখানে বই পড়া, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, এমনকি শরীরচর্চা করার উপরও বিধিনিষেধ ছিল। সেই কর্মসূচির তৃতীয় দিনে তাঁর জানলায় একটি রঙিন প্রজাপতি উড়ে এসে বসে আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেটি আবার উড়ে যায়। সেই প্রজাপতিই যেন নতুন কিছু ভাবনা নিয়ে আনে তাঁর মাথায়। এক সাক্ষাৎকারে প্রবাল বলেন, ‘‘নেপালে সিঁদুর পরা হয় স্বামীর অস্তিত্ব বোঝাতে। স্বামীর মৃত্যুর পর সেটি মুছে ফেলা হয়। আমি আমার নকশা করা পোশাকের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি জীবনে কোনও কিছুই স্থির নয়, তবে সেই পরিবর্তনকে ভয় না পেয়ে এগিয়ে চলতে হবে।’’