গোলগাল মুখ হলেও ঋতাভরী চক্রবর্তীর সাজে আছে তীক্ষ্ণতা। ছবি: সংগৃহীত
মুখের গড়ন গোল ও গালে ফোলা ভাব আছে বলে মেকআপ করতে স্বচ্ছন্দ্য নন? শত কায়দা করেও গালের ফোলা ভাব কমানো যায় না? অনেকে আবার মনে করেন মেকআপ করলেই বুঝি মুখ আরও ফোলা দেখায়। তাই তাঁরা মেকআপ এড়িয়ে চলেন। কিছু ফন্দি-ফিকির জানলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ব্লাশ ব্যবহারের সময়ে সতর্কতা: বেশির ভাগ মহিলাই হাসির ভঙ্গিতে ব্লাশ লাগান। মানে হাসির সময়ে গালের যে অংশগুলি ফুলে থাকে, সেখানে গোল করে ব্লাশ ব্যবহার করেন। মুখের গড়ন গোল হলে এই ভুল না করাই ভাল। গালের উপরে হাড় বরাবর একটু কোনাকুনি ভাবে ব্লাশ লাগান, গোল করে নয়। তা হলে মুখের গোল ভাব কমবে।
কনট্যুরিং ভীষণ জরুরি: কনট্যুর করার সময়ে ত্বকের রঙের তুলনায় দু’শেড গাঢ় রঙের কনট্যুর ব্যবহার করুন। প্রথমে কপালের ধার বরাবর করট্যুর করুন। তার পর কানের উপরের ভাগ থেকে শুরু করে চোয়ালের মাঝ পর্যন্ত ব্রোঞ্জার লাগান। এর পর থুতনির নীচ থেকে কানের পিছন দিক পর্যন্ত লম্বা করে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। নাকের দু’পাশে ব্রোঞ্জার লাগাতে ভুলবেন না যেন। গালে কনট্যুর ব্যবহার করবেন না কখনওই। কনট্যুরিং করার সময়ে এই টোটকাগুলি মানলেই মুখ তীক্ষ্ণ দেখাবে।
গালের ফোলা ভাব মেকআপ দিয়ে ঢাকতে চান? ছবি: সংগৃহীত।
চোখের সাজে বেশি নজর: চোখের সাজ ভাল হলে সকলের নজর সে দিকেই যায়। মুখের ফোলা ভাব ঠাকতে মোটা করে আইলাইনার পরুন। দিনের বেলায় মেকআপ করলে রঙবেরঙের আইশ্যাডো দিয়ে কারসাজি করুন, সামান্য গ্লিটারও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে ‘স্মোকি আই লুক’ করতে পারেন।
গাঢ় রঙের লিপস্টিক ও হাইলাইটার ভুলবেন না: গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। মেকআপের সময়ে হাইলাইটার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এতে মুখের গড়নের থেকে ঠোঁট আর ত্বকের ঔজ্জ্বল্যের দিকেই লোকের বেশি নজর যাবে।
চুলের সাজে কারসাজি: মুখের গড়ন গোল হলে চুল খোলা রাখার চেষ্ঠা করুন। এ ক্ষেত্রে চুলে ‘লেয়ার কাট’ করাতে পারেন। এ রকম চুলে মুখের গড়ন লম্বাটে দেখায়।