ঘরোয়া টোটকায় ত্বকে থাক ঔজ্জ্বল্য। ছবি:সংগৃহীত।
রূপচর্চার অন্যতম ধাপ হল ত্বক পরিষ্কার করা। ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং ছাড়াও ত্বকের যত্নে ফেস ওয়াশের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। ত্বকের কোষে কোষে যদি ময়লা থেকে যায়, সেখান থেকেই ব্রণ, র্যাশের সমস্যা শুরু হয়। তাই ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে পারে, এমন ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু বাজারচলতি প্রসাধনী ততটাও শক্তিশালী নয়। তাই ব্যবহার করেও কোনও লাভ হয় না। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করেও ত্বকের হাল ফেরে না। তার চেয়ে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কয়েকটি উপাকরণের উপর। উপকার পাবেন।
১) ত্বকের দেখাশোনায় মধু এক গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। মধু ত্বককে ভিতর থেকে নরম রাখে। মধু ক্লিনজার হিসেবেও দারুণ। কোষ থেকে ময়লা দূর করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে মধু। ফেস ওয়াশের বদলে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন মধু। সুফল পাবেন।
২) মুলতানি মাটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী। একটি পাত্রে দু’চামচ মুলতানি মাটি, দু’টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটের গুঁড়ো ও জল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। প্রতি দিন স্নানের আগে এটি ব্যবহার করতে পারেন। সুফল মিলবে।
৩) কাঁচা দুধ রূপচর্চায় অপরিহার্য। শুধু দাগই নয়, ত্বকের নানা সমস্যাও দূর করা যায় কাঁচা দুধের ব্যবহারে। কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। ভাল করে মালিশ করুন। জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪) অ্যালো ভেরা সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে অ্যালো ভেরা। এক চা চামচ অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে তাতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৫) টক দই আর অর্ধেক শসা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। এ বার সেই মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। মিনিট দশেক পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের দাগ-ছোপ দূর হবে। শসা ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।