ছবির প্রচার ঝলকের অনুষ্ঠানে কাঞ্জিভরম পরেছিলেন জাহ্নবী কপূর। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
কাঞ্জিভরম শাড়ি বললে কী মনে পড়ে? পোটাই জরি বা রেশমি ঢালা পাড়। সঙ্গে উজ্জ্বল রেশমের নরম জমি। বারো হাতের সেই মোহময়ী বুননেই এত দিন মাতোয়ারা ছিলেন শাড়িপ্রেমীরা। বলিউডের ডিজ়াইনার মনীশ মালহোত্র এক ধাক্কায় সেই শাড়ির আবেদন বাড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী জাহ্ণবী কপূরকে বিশেষ এক ধরনের কাঞ্জিভরম শাড়ি পরিয়ে। সোনালি রঙের সেই শাড়ি পরে জাহ্নবী লিখেছেন, তাঁকে ‘সোনালি দ্বীপবাসিনী’ মনে হচ্ছে।
মণীশের নকশা করা ওই শাড়ি পরে জাহ্নবী গিয়েছিলেন, তাঁর প্রথম দক্ষিণী ছবি ‘দেবারা’র প্রচার ঝলক প্রকাশের অনুষ্ঠানে। সেখানে জাহ্নবীকে দেখে অনুরাগীদের চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড়। অসংখ্য ছোট ছোট স্ফটিক ঝিকমিকোচ্ছে জাহ্নবীর শাড়ি থেকে। পরে জানা গেল, শাড়িটি মনীশ তৈরি করেছেন উৎকৃষ্ট মানের দামি ক্রিস্টাল দিয়ে। তার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন সোনার জরির পুরাতনী কাজ। ওই শাড়ির দাম কোটি ছাড়ালেও আশ্চর্যের কিছু নয়।
মনীশের নকশা করা কাঞ্জিভরমে জাহ্নবী কপূর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
জাহ্নবী শাড়িটি পরেছেন সহজ ভাবেই। সঙ্গে ছোট হাতের ব্লাউজ়। একজোড়া ঝুমকো। আর ছোট্ট একখানি নাকছাবি। খোলা চুলে তাতেই মোহময়ী ‘সোনালি দ্বীপবাসিনী’।
‘দেবারা’র মাধ্যমেই দক্ষিণী ছবিতে অভিষেক হতে চলেছে জাহ্নবীর। তাঁর সঙ্গে ওই ছবিতে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী তারকা এনটিআর জুনিয়র এবং বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। ছবিটির বিষয়বস্তু আবর্তিত হয়েছে সমূদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজনকে ঘিরে। জাহ্নবীর চরিত্রের নাম থাঙ্গম। চরিত্রটি উপকূল এলাকার এক কন্যার।
এর আগেও নিজের ছবির প্রচারে ছবির বিষয়বস্তুর ঝলক নিজের পোশাকে রেখেছেন জাহ্নবী। ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’র প্রচারে ক্রিকেট বল দেওয়া পোশাক পরে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এ বারেও জাহ্নবী লিখেছেন, ‘‘থাঙ্গম মানে সোনা। এখানে আমাকে সোনালি দ্বীপের কন্যা মনে হচ্ছে।’’