কোন পোশাকের সঙ্গে কেমন গয়নায় সাজবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না না পরলে সাজটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অফিসে যাওয়া হোক, ঘরোয়া অনুষ্ঠান বা সান্ধ্য পার্টি— কেমন পোশাকের সঙ্গে কী ধরনের গয়না মানাবে, কেমন ব্যাগ সঙ্গে নেবেন বা জুতো পরবেন, তা ভাবতেই অনেকখানি সময় চলে যায়। তাড়াহুড়োতে অনেক সময়েই পোশাকের সঙ্গে বাকি সাজ মানানসই হয় না। তখন দেখতে ভাল লাগে না। তাই মেকআপ যেমন পরিপাটি করবেন, তেমনই সাজসজ্জাও হতে হবে নিখুঁত।
ধরুন, একরঙা লম্বা ঝুলের গাউন পরলেন, তার সঙ্গে একটু ভারী গয়না বেছে নিতেই পারেন। এই ধরনের গাউন সান্ধ্য পার্টির জন্য বেশ মানানসই। তার সঙ্গে গলায় জমকালো নেকপিস পরলে খারাপ লাগবে না। পাথর বসানো নেকলেস্ও পরতে পারেন। সিল্কের প্রিন্টেড বা কাঁথা কাজের স্কার্ফ সুন্দর ভাবে বেঁধে নিলেও এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে বেশ লাগে।
একটি ট্যানরঙা হিল আর একটি ব্রোগ বা অক্সফোর্ড জুতো অবশ্যই রাখুন আপনার সংগ্রহে৷ জিনস, বিভিন্ন রকম ঝুলের পোশাকের সঙ্গে ভাল মানাবে। পোশাক যদি সাদামাটা হয়, তা হলে মেকআপ আর গয়নায় বৈচিত্র আনতে হবে। চোখের নীচের পাতায় গভীর ভাবে কাজলের রেখা টানুন। উপরের পাতায় থাক আইলাইনারের পরত। মাস্কারার প্রলেপে আপনার আঁখিপল্লব আরও গাঢ় দেখাবে। পছন্দমতো আইশ্যাডো আর লিপস্টিকও বেছে নিতে পারেন। চুল টান টান করে বেঁধে নিন পিছনে। রুপোর গয়না আপনার এই ধরনের সাজের সঙ্গে খুব ভাল যাবে। তবে গলায় ভারী কিছু পরলে কান আর হাত খালি রাখলেও চলবে।
একটি ফিটেড টপ নিন। সঙ্গে নিন একটি লং স্কার্ট বা একটি পালাজ়ো প্যান্ট। সঙ্গে পরুন লম্বা একটি মালা এবং ছোট্ট কানের দুল। মানানসই হবে গোটা ব্যাপারটা।
বিয়েবাড়ি বা কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি হলে যদি বেনারসি কিংবা জামদানি পরেন, তা হলে সঙ্গে সোনার গয়না মানায় ভাল। লম্বা সীতাহার কিংবা লহরি, কানবালা, হাতে বালা কিংবা চূড় একেবারে সনাতনী সাজে সেজে ফেলতে পারেন। কাতান বা ব্রোকেডের শাড়ির সঙ্গে টেম্পল জুয়েলারি বা পাথর বসানো গয়না ভাল মানাবে। সিল্কের শাড়ির সঙ্গে বেছে নিতে পারেন অ্যান্টিক ব্রাস গয়না। সিল্কের শাড়ির সঙ্গে মুক্তোর গয়নাও বেশ মানায়। হ্যান্ডলুম শাড়ি পরলে তার সঙ্গে পরতে পারেন জাঙ্ক জুয়েলারি বা আফগানি গয়না।