চায়ের জলেই ফিরবে চুলের স্বাস্থ্য! ছবি: সংগৃহীত।
পাকা চুল ঢাকতে সপ্তাহে এক বার মাথায় হেনা করেন। আগের দিন রাতে চায়ের লিকারে মেহন্দি ভিজিয়ে রাখেন। পরের দিন সেই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখেন ঘণ্টা দুয়েক। চুল একেবারে কুচকুচে কালো না হলেও পাকা চুল ঢাকা পড়ে যায় সহজেই। চুল একবারে রেশমের মতো হয়ে ওঠে। কারণ, চায়ের লিকার চুলে কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না চুলের ঝরে পড়া রুখতেও এই পানীয়ের ভূমিকা রয়েছে। কারণ, চায়ের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা চুলের ফলিকল মজবুত করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া, চায়ের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, আয়রনের মতো খনিজ। প্রত্যেকটি উপাদান চুলের জন্য ভাল।
চায়ের লিকার চুলে ঠিক কী ভাবে কাজ করে?
১) চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়
চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফিন। এই উপাদানটি চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ক্যাফিন কিন্তু চুলে ‘ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন’-এর প্রভাব কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই ‘ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন’ হল এক প্রকার হরমোন। এই হরমোনের সঙ্গে চুল ঝরে পড়ার সম্পর্ক রয়েছে। চায়ের মধ্যে যে পরিমাণ ক্যাফিন রয়েছে, তা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
২) চুল মজবুত করতে সাহায্য করে
রাসায়নিক দেওয়া কন্ডিশনার মাখলে অনেকেরই চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বে়ড়ে যায়। অথচ এই একই কাজ করে চায়ের লিকার। কন্ডিশনার না মাখতে চাইলে চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩) মাথার ত্বকের সংক্রমণ কমায়
চায়ের লিকারের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান মাথার ত্বকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রোধ করে। শীতকালে খুশকির সমস্যা বাড়ে। তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে চায়ের লিকার। তা ছাড়া, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই পানীয় মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। যার ফলে নিষ্প্রাণ চুলও ঝলমল করে ওঠে।
চা দিয়ে চুলের পরিচর্যা করবেন কী ভাবে?
গ্রিন, ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল কিংবা রোজ়মেরির ভেষজ দেওয়া চা চুলের জন্য ভাল। প্রথমে একটি পাত্রে জল ফুটিয়ে তার মধ্যে পছন্দ মতো যে কোনও একটি চা পাতা দিয়ে দিন। ফুটে গেলে ছেঁকে রাখুন। ঠান্ডা হলে শ্যাম্পু করার পর ওই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলার পর আর মাথায় জল দেওয়া যাবে না।