টানটান ত্বক চাই, চুমুক দিন এই পানীয়ে। ছবি: ফ্রিপিক।
রান্নায় সামান্য একটু হলুদ দিলেই তার স্বাদ এবং গন্ধ বৃদ্ধি পায়। এটি শুধু মশলা নয়, বহু রোগের ওষুধও। আয়ুর্বেদে এর ব্যবহার দীর্ঘ দিনের। আবার রূপচর্চার জগতেও প্রাকৃতিক এই উপাদানের কদর কম নয়।
কালচে ভাব দূর করা হোক, কিংবা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরানো, কাঁচা হলুদ দুধ দিয়ে মাখার চল বহু দিনের। তবে জানেন কি, শুধু মাখা নয়, যদি হলুদ ডিটক্স পানীয় হিসাবে খাওয়া যায়, তা হলেও উজ্জ্বল হতে পারে ত্বক?
ডিটক্স পানীয় কী, কেন খাওয়া দরকার?
একাধিক ফল এবং অন্যান্য উপাদান জলে মিশিয়ে তৈরি হয় ডিটক্স পানীয়। আমাদের শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বার করতে এই পানীয় বিশেষ ভাবে কার্যকর।
এই পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিপাক হারও বৃদ্ধিতে কার্যকর। পুষ্টিবিদেরা বলেন, ডিটক্স পানীয় রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এই পানীয়ের গুণে উজ্জ্বল হয় ত্বক।
হলুদের গুণ
বিভিন্ন ফল, সব্জি দিয়েও ডিটক্স পানীয় হয়। প্রশ্ন উঠতেই পারে সেই তালিকায় হলুদ রাখবেন কেন? হলুদে রয়েছে 'কারকিউমিন' নামে একটি উপাদান, যা প্রদাহ কমাতে, ত্বক টানটান এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা লাবণ্য ফেরাতে জরুরি। ব্রণ এবং ছোটখাটো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে হলুদ।
হলুদের ডিটক্স পানীয় তৈরির পদ্ধতি
উপকরণ:
আধ চামচ হলুদ গুঁড়ো
২৫০ মিলিলিটার জল
আধখানা পাতিলেবুর রস
প্রণালী:
জল গরম হবে, তবে ফুটন্ত গরম নয়। এই জলে মিশিয়ে দিতে হবে হলুদ গুঁড়ো, এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়ো, পাতিলেবুর রস। চাইলে সামান্য মধুও যোগ করা যেতে পারে। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ রেখে দিন। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে শরীর সুস্থ থাকবে, লাবণ্যও ফিরবে মুখে। শরীর এবং ত্বক ভাল রাখতে, এখন থেকেই খেতে পারেন এই ডিটক্স পানীয়।