দাগ, ফুসকুড়ি এবং ব্রণ নিরাময়ে লাল চন্দন খুবই কার্যকরী। ছবি : সংগৃহীত
ত্বকের যত্নে শ্বেত চন্দনের ব্যবহার প্রচলিত হলেও লাল চন্দনের ব্যবহার খুব একটা শোনা যায় না। আসল লাল চন্দনের কাঠ বা গুঁড়ো পাওয়াও এখন ভাগ্যের ব্যাপার। আগেকার দিনে রানিরা ত্বকচর্চায় ব্যবহার করতেন এই লাল চন্দন। একমাত্র দক্ষিণ ভারতেই ভাল মানের লাল চন্দন গাছ পাওয়া যায়। সেখানকার গহীন অরণ্য থেকে সংগ্রহ করতে হয় এই লাল চন্দন কাঠ।
দাগ, ফুসকুড়ি এবং ব্রণ নিরাময়ে লাল চন্দন খুবই কার্যকরী। শ্বেতচন্দনের মতো লাল চন্দনও গুঁড়ো আকারে বিক্রি হয়।
লাল চন্দন ব্যবহারে আপনার ত্বকের কী উপকার হতে পারে? কী ভাবে তৈরি করবেন এই লাল চন্দন গুঁড়োর ফেসপ্যাক?
১) লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মুখে মাখার পর, ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুব উপকারী।
২) তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ সমস্যা হলে গোলাপ জলের সঙ্গে মধু এবং লাল চন্দনের গুঁড়োর ভাল করে মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে এই মিশ্রণ মুখে মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
সারা দিন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নারকেল তেলের সঙ্গে ব্যবহার করুন লাল চন্দনের গুঁড়ো। ছবি : সংগৃহীত
৩) স্পর্শকাতর ত্বকে বাজার চলতি কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন না? ১ চামচ লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে আধ কাপ পাকা পেঁপে মিশিয়ে নিন। শুধু মুখে নয়, এই মিশ্রণ সারা শরীরেই মাখতে পারেন।
৪) সামনেই আসছে শীতকাল। যাই মাখবেন, মনে হবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পেতে লাল চন্দনের গুঁড়োয় কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। সারা গায়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সারা দিন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।