সন্তান ঠিক মতো জল খাচ্ছে কি না, সে দিকে লক্ষ রাখুন। ছবি: সংগৃহীত
অতিমারির পর স্কুল খুলে গিয়েছে। শিশুরা আবার ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরছে। স্কুলে যাচ্ছে। ফলে অনেক ক্ষণ অভিভাবকের চোখের আড়ালে থাকছে তারা। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করছে কি না, তা নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু তো খাবার নয়। সেই সঙ্গে খুদের শরীরে তৈরি হচ্ছে জলের ঘাটতিও। শিশুদের জল খাওয়ানো একটা আলাদা ঝক্কি। সামনে থাকলেই খাওয়ানো যায় না। চোখের আড়ালে তো সে কাজ আরও অসম্ভব হয়ে পড়ে। পেট খারাপ, বমি, জ্বরের মতো যে সমস্যাগুলিতে শিশুরা সাধারণত ভুগে থাকে— তা আসলে শরীরে জলশূন্যতার কারণেই ঘটে। তাই সন্তান ঠিক মতো জল খাচ্ছে কি না, সে দিকে লক্ষ রাখুন। জল শরীরের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ সচল রাখে।
সন্তানের কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন তার শরীরে জলের অভাব ঘটছে কি না?
১) বার বার তেষ্টা পাওয়া
২) দুর্গন্ধযুক্ত মলত্যাগ
৩) সারা দিন ক্লান্ত থাকা
৪) ঠোঁট, জিভ, চোখ শুকিয়ে যাওয়া
৫) নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
জল শরীরের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ সচল রাখে। ছবি: সংগৃহীত
শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবেন কী ভাবে?
জলযুক্ত ফল খাওয়ান
শিশুর শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে বেশি করে জল খাওয়ানোর পাশাপাশি, জল আছে এমন ফল এবং সব্জি বেশি করে খাওয়ান। তাতে জলের ঘাটতি পূরণ হওয়ার পাশাপাশি, অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানও শরীরে প্রবেশ করে। বেড়ে ওঠার সময়ে ভিটামিন, ফাইবার, খনিজের মতো পুষ্টিগুণ খুব জরুরি।
সন্তানকে জল খাওয়ার গুরুত্ব বোঝান
বাড়িতে থাকলে বকাবকি করে জল খাওয়ানো গেলেও স্কুলে গেলে তা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া, প্রতি মুহূর্তে ধরে ধরে জল খাওয়ানোর কথা মনে রাখাও কঠিন। তাই সন্তান খুব ছোট না হলে তাকে সুস্থ থাকতে জলের ভূমিকার কথা জানান। বোঝানোর চেষ্টা করুন। শিশুরা যা দেখে, তা-ই অনুসরণ করে। শিশুদের সামনে আপনারাও বেশি করে জল খান।
মাঝেমাঝেই ওআরএস খাওয়ান
স্কুল থেকে ফিরলে কিংবা বাইরে থেকে খেলাধুলো করে এলে জলের বদলে এক গ্লাস ওআরএস বানিয়ে দিন। ওষুধের দোকানে ‘ওআরএস’-পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। তা ছা়ড়া, বাড়িতে নুন এবং চিনি জলে গুলে বানিয়ে দিতে পারেন।
লেবুর শরবত খাওয়ান
নরম পানীয়, প্রক্রিয়াজাত পানীয়ের বদলে শিশুকে খাওয়ান লেবুর শরবত বানিয়ে দিন। লেবুতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি। ফলে রোগের সঙ্গে লড়তে ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়ান।