এসেনশিয়াল অয়েল ব্য়বহার করলেই হল না, সঠিক পদ্ধতি জানা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
মন ও শরীর তরতাজা রাখতে এসেনশিয়াল অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। চুলের চর্চা, ত্বকের পরিচর্যাতেও কাজে লাগে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’। বিভিন্ন ফুল ও গাছের নির্যাস সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় বিশেষ কিছু সুগন্ধি- তেল। এর গন্ধ স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও কাজ করে। সারা দিন তরতাজা থাকতে স্নানের জলেও মিশিয়ে নিতে পারে এসেনসিয়াল অয়েল। তবে সরাসরি কি এই তেল জলে মিশিয়ে স্নান করা উচিত? সকলেই কি ব্যবহার করতে পারেন এই তেল? ব্যবহারের আগে জানুন সঠিক পদ্ধতি।
ব্যবহারে সতর্কতা
১.শরীরে কোথাও কেটে বা ছড়ে গেলে, সেই অবস্থায় স্নানে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’-এর ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
২. ‘সাইট্রাস অয়েল’ দিয়ে স্নানের পর কখনওই রোদে বের হওয়া উচিত নয়। এতে ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে।
৩. ঘন ‘এসেনসিয়াল অয়েল’-এ অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। তাই ব্যবহারের আগে ত্বকে ‘প্যাচ টেস্ট’ জরুরি। কয়েক ফোঁটা ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ হাতে ফেলে দেখতে হবে ২৪ ঘণ্টায় কোনও প্রতক্রিয়া হচ্ছে কি না। জ্বালা, চুলকানি হলে বুঝতে হবে ওই তেলটি আপনার সহ্য হচ্ছে না।
৪. ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
৫. গর্ভাবস্থায় ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
স্নানের জলে কোন ‘এসেনশিয়াল অয়েল’
স্নানের জন্য ‘ল্যাভেন্ডার অয়েল’, ‘পিপারমেন্ট রোজ অয়েল’, ‘রোজমেরি অয়েল’ ব্যবহার করতে পারেন। এক এক ধরনের তেল ও গন্ধের উপকারিতা এক এক রকম। ‘পিপারমেন্ট অয়েল’ দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে ঘুমও ভাল হয়। ‘ল্যাভেন্ডার অয়েল’ ব্যবহারে দিনভর তরতাজা থাকা যায়।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
‘এসেনশিয়াল অয়েল’ কখনও সরাসরি ত্বকের উপর ব্যবহার করা উচিত নয়। এই তেলের ঘনত্ব বেশি থাকে। জলে সহজে মেশে না। ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ সবসময় ‘কেরিয়ার অয়েল’-এ মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত। অনেকে স্নানের জন্য ব্যবহৃত নুনেও ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ মিশিয়ে ব্যবহার করেন।
‘কেরিয়ার অয়েল’ হিসাবে ব্যবহার করা যায় ‘গ্রেপসিড’, ‘জোজোবা’, ‘অর্গান’ ও ‘আমন্ড অয়েল’।
১. ১ চামচ ‘কেরিয়ার অয়েল’-এর সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ মিশিয়ে নিন।
২. মিশিয়ে নেওয়া তেল একটি ছোট বোতলে জলের সঙ্গে খুব ভাল করে ঝাঁকিয়ে, মিশিয়ে নিন।
৩. স্নানের বালতিতে সেই জলটি মিশিয়ে দিন।