কোন ত্বকের জন্য কেমন ব্লাশ বাছবেন, রইল টিপ্স। ছবি: ফ্রিপিক।
ব্লাশার দিয়ে ঢেকে ফেলতে পারেন মুখের খুঁত। তবে কেমন ব্লাশার কিনছেন তা-ও মাথায় রাখতে হবে। ত্বকের রঙের সঙ্গে ব্লাশারের রং না মিললে, সাজটাই সম্পূর্ণ হবে না। মুখের গড়ন, আকার, ত্বকের রং সবকিছু দেখেশুনে তবেই ব্লাশার বাছাই করতে হবে। না হলে মেকআপ নিখুঁত হবে না। কেমন ত্বকের জন্য কী রকম ব্লাশার ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন।
গায়ের রং যদি ফর্সা হয়
ত্বকের রং যদি উজ্জ্বল ফর্সা হয় তা হলে হালকা রঙের ব্লাশারই বেছে নিন। খুব গাঢ় রঙের ব্লাশ গায়ের রঙের অনুপাতে চড়া দেখাবে। হালকা গোলাপি, কোরাল, পিচ শেডের ব্লাশার ফর্সা ত্বকের জন্য মানানসই।
উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ
একটু গাঢ় শেডের গোলাপি মন্দ লাগবে না। পিচ রঙের ব্লাশারও মানাবে। যাঁদের গায়ের রং খুব উজ্জ্বল নয় আবার চাপাও নয়, তাঁরা হালকা গোলাপি, বেরির মতো হালকা লাল কিংবা গোলাপির সঙ্গে মভের মিশেলে তৈরি ব্লাশার ব্যবহার করতে পারেন।
শ্যামবর্ণাদের জন্য কোন রং
গায়ের রং খুব চাপা হলে খয়েরি, লাল বা কমলা রঙের উজ্জ্বল ব্লাশার ব্যবহার করতে পারেন। খুব হালকা রং ফ্যাকাশে লাগবে। গোলাপির যে কোনও উজ্জ্বল শেড, কোরালও এমন ত্বকে মানিয়ে যাবে।
আগে কেবল আগে শুধু পাউডার ব্লাশই পাওয়া যেত। এখন ক্রিম, টিন্ট, জেল ব্লাশও পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পাউডার ব্লাশই আদর্শ। ফেস পাউডার লাগানোর পরে পাউডার ব্লাশ লাগিয়ে নিলে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে। যে কোনও সান্ধ্য পার্টি বা অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়িতে টিন্ট ব্লাশ লাগালে অনেক ক্ষণ তার আভা থাকবে। জেল ব্লাশও পাওয়া যায়। ত্বকের রং বুঝে বেছে কিনবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভাল এই ধরনের ব্লাশ। ব্লাশার স্থায়ী করার জন্য, ফাউন্ডেশন ভিজে অবস্থায় থাকার সময়ে ক্রিম ব্লাশ লাগান। তার উপর পাউডার লাগিয়ে নিতে পারেন।