ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের ট্যান দূর করা সহজ নয় একেবারেই। নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও রোদে পোড়া দাগ একটুও ফিকে হয় না। জলের মতো টাকা খরচ করে প্রসাধনী কিনেও যখন লাভ হয় না, তখন অনেকেই দ্বারস্থ হন ঘরোয়া টোটকার কাছে। প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহারে সাময়িক সুফল পাওয়া গেলেও, বেশি দিন সেই লাভের গুড় খাওয়া যায় না। তার একটা কারণ হতে পারে ত্বকের ধরন অনুযায়ী পরিচর্যা না করা। সব ধরনের ত্বকে একই রকম প্রসাধনী ব্যবহার করা যায় না। ত্বকের ধরন অনুযায়ী কে, কেমন ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন?
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাদের জন্য এখানে একটি প্যাক বিশেষ উপযোগী। কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে দুধ, মধু ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ বার সেই প্যাকটি ত্বকে রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকের ট্যান তোলার ক্ষেত্রে মুসুর ডাল কাজে আসতে পারে। মসুর ডাল বাটার সঙ্গে শসার রস ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মিনিট কুড়ি ত্বকে লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা জল দিয়ে প্যাকটি ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। দশ থেকে পনেরো দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলেই ত্বকের ট্যান উঠে যাবে।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকে এমনিতে বেশি ট্যান পড়ে। শুষ্ক ত্বকের ট্যান তোলা সহজ নয়। শুষ্ক ত্বকের ট্যান তোলার জন্য রয়েছে বিশেষ একটি প্যাক। সয়াবিন পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস একসঙ্গে মিক্সিতে বেটে নিন। এ বার সেই প্যাকটি করে ত্বকে লাগিয়ে নিন। রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে এলে পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন।