এই শীতেই কি টাক পড়ে যাবে সুপর্ণা? ছবি- সংগৃহীত
শীতকাল আসতে যে আর বেশি দেরি নেই, তা চুল পড়ার পরিমাণ দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। বাতাসে ধুলো-বালির পরিমাণও বেড়ে যায়। তার উপর ঠান্ডার ভয়ে অনেকেই প্রতি দিন মাথায় জল ঠেকাতে চান না। মাথার ত্বক পরিষ্কার না করলেও চুল ঝরতে পারে। এমনিতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০টি করে চুল ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই মরসুমে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অনেকের কাছেই তা বেশ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে বেশির ভাগ মানুষই গরম জলে স্নান করেন। গরম জলে স্নান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণেও কিন্তু চুল পড়তে পারে। তবে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে শুধু বাইরে থেকে যত্ন করলে হবে না। ভিতর থেকেও শরীরকে আর্দ্র রাখতে হবে।
প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০টি করে চুল ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক। ছবি- সংগৃহীত
দামি তেল, শ্যাম্পু বা বিশেষ কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে, এক বার ঘরোয়া এই টোটকাগুলি করে দেখুন তো কাজে দেয় কিনা।
১) আমলকি
এই সময়ে বাজারে প্রচুর আমলকি পাওয়া যায়। আমলকির রস খেতে ভাল না লাগলে প্রতি দিন ভাতের সঙ্গে একটি করে আমলকি সেদ্ধ খেতে পারেন। রাতে শোয়ার সময়ে দু’চামচ আমলকির রসের সঙ্গে এক চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথায় মেখে, পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন।
২) অ্যালো ভেরা
দোকান থেকে অ্যালো ভেরার রস কিনতে পারেন, আবার পাতা থেকে জেল বার করে তা মাথায় মেখে রেখেও দিতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার করতে পারলে ভাল ফল পাবেন। রোজ অ্যালো ভেরার রস খেতে পারলেও কাজ দেবে।
৩) বিটের রস
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বিটের রস খেতে পারেন। চুলের ঘনত্ব বাড়াতে বিট খুবই কার্যকর।
৪) জবা ফুল
নারকেল তেলের মধ্যে কিছুটা জবা ফুল নিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে মাথায় মেখে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
৫) জল
গরমকালের মতো শীতকালে জল তেষ্টার অনুভূতি থাকে না, তাই জল খাওয়াও কম হয়। শরীরে জলের ঘাটতি থাকলেও কিন্তু চুল পড়ে। শুধু জল না খেয়ে জল বেশি থাকে এমন ফল বা ফলের রস কিংবা ডাবের জলও খেতে পারেন।